ঈদের শপিংয়ে মার্কেটে গেলেই জরিমানা!

ঈদের শপিংয়ে মার্কেটে গেলেই জরিমানা!

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বব্যাপী উদ্ভূত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে বারবার বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে। কিন্ত বানের পানির মত তোয়াক্কাহীন মানুষ তা মোটেও আমলে নিচ্ছে না বলে এবার রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হলেই ধরে ধরে জরিমানা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় এমন অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেই সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে বুধবার (২০ মে) খুব প্রয়োজন ছাড়া রাজশাহী শহরে ঘোরাফেরা করলেই জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না থাকার কারণে জরিমানা করা হয়। এর আগের দিন মঙ্গলবার অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আরও কঠোর হয়েছে প্রশাসন। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা। এ অবস্থায় গত সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।

নগরীর আরডিএ মার্কেটে দোকান খোলার অপরাধে বুধবার এক ব্যবসায়ীকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবারও এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তারপরেও বৃহস্পতিবার এই মার্কেটের তিনজন ব্যবসায়ী দোকান খোলেন। তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর কেউ দোকান খুললে তাকেও জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) যারা আরডিএ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন তাদেরও ধরে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে এক ঘণ্টা মার্কেটের সামনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজ এ অভিযান চালান।

জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, জনস্বার্থেই রাজশাহীর মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু রাজশাহী মহানগর নয়, সব উপজেলার জন্যও এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। প্রয়োজন হলে তারা আরও কঠোর হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *