পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে চীনের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে বৃহস্পতিবার বিতর্ক ও ভোট হলো জাতিসংঘে।
চীনের বিরুদ্ধে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছিল পরিষদের কোর সদস্য কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন ও আমেরিকা। সঙ্গে ছিল তুরস্কও।
পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে ১৭টি সদস্য দেশ সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চীনসহ ১৯টি দেশ। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইউক্রেনসহ ১১টি দেশ।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর চীনের ‘দমনমূলক’ ভূমিকা নিয়ে সরব। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষা শিবির চালানোর নামে ১০ লাখ উইঘুরকে জোর করে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে। বলপূর্বক বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিশ্বাস।
কেন ভারত এ প্রস্তাবে সায় দিল না, সরাসরি এর কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন, এটিকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেই পক্ষে-বিপক্ষের বিতর্কে জড়াতে চায়নি নয়াদিল্লি।
অন্য কোনো দেশের ভেতরের কোনো সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে ভোট দেওয়া থেকে নিজেদের সাধারণত দূরে সরিয়ে রাখে ভারত। তা ছাড়া জিনজিয়াং নিয়ে জাতিসংঘে আওয়াজ তুললে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে যাবে বেইজিং। চীনের হাতে সেই ‘অস্ত্র’ জেনেবুঝে ভারত তুলে দিতে চায় না বলেই মত কূটনীতিকদের একাংশের।
শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একই ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তবে সে দেশের সংখ্যালঘু তামিলদের প্রতি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা যেন ঠিক মতো পালন করা হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছে। মানবাধিকার পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্রমণি পান্ডে জানিয়েছেন, তামিলদের প্রতি শ্রীলঙ্কা সরকারের যে দায়বদ্ধতা তা ‘সঠিকভাবে’ পালন করা হচ্ছে না।