এই ইজতেমা আমলের, কেবল বয়ানের নয় : আল্লামা মাসঊদ

এই ইজতেমা আমলের, কেবল বয়ানের নয় : আল্লামা মাসঊদ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তিন দিনব্যাপি আমাদের এই ইসলাহী ইজতেমা আমল করা ও শেখার ইজতেমা, এটা কেবল বয়ান শোনার ইজতেমা নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

তিনি বলেন, আমাদের এই ইজতেমা প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে। আর দিনদিন আল্লাহ তাআলা ইজতেমার বারাকাতকে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এ বছরও আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এখানে নির্বাচিত করে এনেছেন। আমরা আল্লাহর পছন্দের বান্দা বলেই তিনি আমাদেরকে এখানে উপস্থিত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন, তাই আমরা শোকরিয়া আদায় করে বলি ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের বেলঙ্কা জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার (৪ মার্চ) জুমার বয়ানে এসব কথা বলেন মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.)-এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, এই ইজতেমা কোনো সাধারণ ওয়াজ মাহফিল না। এখানে গতানুগতিক কোনো ওয়াজ-বয়ান হবে না। এটা একটা ‘ইসলাহি মাহফিল’। এটা আত্মশুদ্ধির মাহফিল। এখানে আল্লাহ তাআলার জিকির-আজকারের মাধ্যমে নিজেদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করবো, আমরা বিভিন্ন আমল পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করার চেষ্টা করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি, তাহলে তিনি আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এজন্য সব সময় আল্লাহ তাআলার দিকে মুতাওয়াজ্জিহ থাকবো। তাঁর স্মরণেই আগামী তিন দিন অতিবাহিত করবো।

শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আমাদের বাসা-বাড়িতে পরিবার-পরিজনদের ত্যাগ করে এখানে আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার জন্য এসেছি। কিন্তু আমরা শয়তানকে বাড়িতে রেখে আসতে পারি নাই। কারণ শয়তান আমাদের সাথে থাকে, তাই আমাদের সাথে চলে এসেছে। এখন আমাদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য ইজতেমার প্যান্ডেলের বাইরে অপেক্ষা করছে। এজন্য আগামী তিন দিন আমরা প্যান্ডেল থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হবো না।

জুমার নামাজ শেষে আগত সকল মুসল্লী ও ইজতেমাকে কবুল করে নেওয়ার দুআ করেন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *