পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তিন দিনব্যাপি আমাদের এই ইসলাহী ইজতেমা আমল করার এবং আমল শেখার ইজতেমা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই ইসলাহী ইজতেমায় একত্রিত করেছেন। তিনি আমাদের ভালোবাসেন বলেই সমবেত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন। আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলি ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের বেলঙ্কার জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কিতাবী তালিম শেষে ইসলাহী বয়ানে এসব কথা বলেন মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, এই ইজতেমা কোনো সাধারণ ওয়াজ মাহফিল না। এখানে গতানুগতিক কোনো ওয়াজ-বয়ান হবে না। এটা একটা ‘ইসলাহি মাহফিল’। এটা আত্মশুদ্ধির মাহফিল। এখানে আল্লাহ তাআলার জিকির-আজকারের মাধ্যমে নিজেদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করবো, আমরা বিভিন্ন আমল পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করার চেষ্টা করবো।
এদিকে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের আগে তাড়াইলের ইজতেমাকে ‘বরকতের মজলিস’ জানিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী বলেছেন, ‘আমাদের সেরতাজ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দামাত বারাকাতুহুম আয়োজিত এই ইসলাহী ইজতেমা বড় ‘বরকতের মজলিস’। আল্লাহর ফেরেশতারা এই ইজতেমাকে ঘিরে রেখেছেন। এখানে আমরা ইসলাহে নফসের জন্য এসেছি। তাই সবসময় জিকির-আজকার ও ইবাদাতে মগ্ন রইবো।’
ইখলাসের ফায়দার কথা বলতে গিয়ে মাওলানা আব্দুল্লাহ মারুফী বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সাত ধরণের মানুষকে আল্লাহ তাআলা তার আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। কেয়ামতের দিনের কঠিন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও কিছু লোক এমন থাকবেন যাদের কোনো পেরেশানি থাকবে না। তারা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াবে। এই সাত ধরণের লোক কারা? যারা এই সাত ধরণের লোকের অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের সবার মধ্যে একটা গুণ বিদ্যমান থাকবে।
আর সেই গুণটি হলো, তারা সকলেই দুনিয়াতে কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যই আমল করতেন। আল্লাহ তাআলাকে রাজি খুশি করার জন্যই তারা ইবাদাত করতেন। আর এজন্য আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রাজী খুশি হয়ে যাবেন। তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। তাই আমরা সব আমল করবো কেবল আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই।’