পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনই রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (১৬ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ১৭ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের হাসপাতালে নতুন ভর্তি রােগী ৮১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় নতুন রােগী ৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে নতুন রােগী ১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমােট ৩৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমােট ৩৩১ জন এবং অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বমােট ১ হাজার ১৩৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি এবং এই সময়ে সর্বমােট ৮০১ জন রোগী ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে রােগতত্ত্ব, রােগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হলেও আইইডিসিআর মৃত্যুর পর্যালােচনা সমাপ্ত করে একটি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুও শনাক্ত করতে পারেনি।
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। এ অবস্থায় যেকোনো ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ১২ জুলাই অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর দেশে মশাবাহিত রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় জ্বর নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে এলেই তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করতে হবে। এ বিষয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
রোবেদ আমিন বলেন, সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু, দুটো পরীক্ষাই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের নির্দেশনা হলো; জ্বর হলেই এই দুটো পরীক্ষা অবশ্যই করাবেন।