৮ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৯ই মহর্রম, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে দেশটিতে করোনায় ৩ হাজার ৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ মে) এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত ৩ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়।
গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। গত ছয় দিন ধরে ভারতে তিন লাখের নিচে করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
৭ মে ভারতে প্রথম এক দিনে করোনায় চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপর একাধিক দিন দেশটিতে চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সবশেষ গতকাল (২২ মে) দেশটিতে মৃত্যু চার হাজারের ওপরে উঠে।
বিশ্বে বর্তমানে করোনার সংক্রমণের কেন্দ্র ভারত। ভারতে সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ ছাড়া ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠান, ধর্মীয় উৎসব ও খেলাধুলার আয়োজনকে দায়ী করা হচ্ছে।
ভারতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর যে হিসাব দেশটির সরকার দিচ্ছে, তার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা বেশি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এনডিটিভির তালিকা অনুসারে, ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানা।
করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির মুখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়। ১ মে থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে (১৮ বছরের ঊর্ধ্বে) টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ভারত। তবে বিভিন্ন রাজ্যের কর্তৃপক্ষ টিকার সংকটের কথা জানাচ্ছে। তা ছাড়া টিকা গ্রহণের হারও কম। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আরম্ভ হয়। ভারতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটি তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখে। অক্সিজেন, জরুরি ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার অভাবসহ নানা গুরুতর সংকটে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। এ অবস্থায় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।