এপ্রিলে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা

এপ্রিলে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে ৯% মূল্যস্ফীতির হারের মধ্যেও এপ্রিল মাসে ব্যাংকে আমানত প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে ইসলামী ব্যাংকে আমানত বাড়েনি, বরং এ ধারার ব্যাংকে বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাড়তি তারল্যের পরিমাণ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে ব্যাংকে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৫৪৮,০০০ কোটি টাকা, যা মার্চে ছিল ১,৫২৩,০০০ কোটি টাকা।

এপ্রিল মাসে বর্ধিত পরিমাণের সিংহভাগ, প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদের। বাকিগুলো চাহিদা আমানত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, এপ্রিলে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ মাসের সর্বোচ্চ ৮.৫৪%।

এর আগে, ঋণ বিতরণে অনিয়মের কারণে বেশ কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৬%-এর নিচে নেমে আসে।

তবে এরপর থেকে প্রবৃদ্ধির হার বেড়েই চলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ব্যাংকগুলো থেকে বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ৬,৫৭৬ কোটি টাকা বেড়ে ১,৪৩৫,০০০ কোটি টাকা হয়েছে।

আগে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হত, কিন্তু বর্তমানে তা ৪-৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

এছাড়া জ্বালানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বিকাশের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৩) বলছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে গ্রাহকের আমানতের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবাহ ও অতিরিক্ত তারল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকে আমানত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৫,১৭০ কোটি টাকা বা ১.৩৮% বেড়েছে।

২০১৮ থেকে ২০২২ সময়ের মধ্যে একই ত্রৈমাসিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোতে আমানত বৃদ্ধির হার ছিল ১৫% এর বেশি।

এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৩.৪৫% বা ৪৬,০১১ কোটি টাকা বেড়েছে, যা গত চার বছরের একই সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য হ্রাস গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

২০২২ সালের মার্চের শেষে ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ২৫,১৩৭ কোটি টাকা, যা এই বছরের মার্চ শেষে ১,৯৯০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ এটি ৯২% কমেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *