২৭শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রজব, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতের কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক এখনো চলছে। এরই মধ্যে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ হিন্দু কলেজে বোরকা পরায় বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, কলেজ প্রশাসন ক্যাম্পাসে ঢুকতে তাদের বোরকা খুলে ফেলতে বাধ্য করেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে সেখানে ৪০ মিনিট অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রীরা।
কলেজটির প্রক্টর এপি সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ছাত্রীরা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া ড্রেস কোড অনুসরণ করলেই কেবল তাদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বোরকা পরার অনুমতি নেই।
বিক্ষোভকারী মেহক নামে এক ছাত্রী বলেছেন, বোরকা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই পোশাক ত্যাগ করতে পারি না।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও স্ক্রলডট ইনের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, এক ছাত্রী অভিযোগ করছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বোরকা পরিহিত অবস্থায় অফিসিয়াল কাজগুলোও করতে দেয়নি।
হিন্দু কলেজ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি বেরেলির রোহিলখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। বহু পুরোনো এই কলেজে এতদিন এমন পোশাক বিধি ছিল না।
বুধবার সমাজবাদী পার্টির যুব শাখার নেতাকর্মীরা কলেজের নতুন ড্রেস কোডের বিরোধিতা করে ছাত্রীদের বিক্ষোভে সংহতি জানিয়েছেন। সংগঠনটির নেতা আসলাম চৌধুরী বলেছেন, “যখন শিখরা কিরপানসহ পাগড়ি পরে যেকোনো কলেজে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে তখন কেন কেবল মুসলিম ছাত্রীদের জন্য কেন এমন পোশাক নিয়ে টানাহেঁচড়া? আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কলেজটিতে মেয়েদের জন্য একটি চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়েছে। কলেজে প্রবেশের আগে সেখানে বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের পোশাক পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মার্চে কর্নাটক সরকার রাজ্যের কলেজগুলোতে পোশাক বিধি চালু করে। তার জেরে রাজ্যের কয়েকটি কলেজে মুসলিম মেয়েরা দাবি তোলে তারা হিজাব পরে ক্লাস করবে। তবে কলেজ প্রশাসন সেই দাবি মানেনি। প্রতিবাদে অনেক ছাত্রী পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন।