এসো অসময়ের ইফতারে | মুহাম্মাদ আইয়ুব

এসো অসময়ের ইফতারে | মুহাম্মাদ আইয়ুব

– হ্যালো জিতু, কেমন আছিস বন্ধু?
– ভাল, তোর কি খবর?
– এই তো আছি কোনমতে করোনার এই দিনে আর কেমন থাকা যায়!
– আজকাল কি করছিস, রহমতের দিন শেষে আমরা তো মাগফেরাতে চলে এলাম। আকাম কুকাম ছাড়তে পেরেছিস তো?
– এখন কি আর অপরাধের সময় আছে!  আমাদের পাপের ফল করোনা, সো ঈমানদার হওয়ার চেষ্টা করতেছি।
– নামাজ কালাম কি কিছু করছিস?
– নামাজ টামাজ না পড়লে মুসলমান নামের ইজ্জত থাকব? আজ-কাল কুরআন শরিফ পড়তেছি, জিকির করতেছি, তোর ভাবিকে রান্নাবান্নার কাজে হেল্প করছি।
– বাপরে বাপ তাহলে তো তুই ইদানিং খুব ছওয়াব কামাই করছিস! তোরা রমজান সার্থক। আল্লাহ তোকে মাফ করবেননা তো কাকে করবেন?
– দোস্ত! বাঁচব আর কতদিন? এখনো যদি পাপ দরিয়ায় হাবুডুবু খেতে থাকি তাহলে তো জীবনটা ষোল আনাই বৃথা।
– তা অবশ্য ঠিক বলেছিস। তা দোস্ত আমার জন্যও দোআ করিস যাতে তোর মত ভাল কাজে জীবনটা কাটাতে পারি।
– ওকে দোস্ত ভাল থাকিস।
– দোআ করিস
– আল্লাহ হাফেজ

– নিতুলের আব্বু ডাইনিং টেবিলে খাবার দিচ্ছি খেয়ে নাও।
– তোমার মাথা খারাপ হয়েছে রোজিনা? আমি না রোজা!
– তুমি রোজা না ছাই
– যে রোযাদার সে আবার মিথ্যা বলে কেমনে? আজকাল কুরআন শরিফ পড়ছ?জিকির করছ? আমাকে রান্নাবান্নায় হেল্প করছ? কি আশ্চর্য!  মানুষ রোজা রমজানের দিনে তো আল্লাহকে একটু ভয় করে।অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে আমাদের নিতুল বাবু পর্যন্ত জানে তুমি মিথ্যাবাদী। তোমার তো লজ্জায় মরে যাওয়া উচিত।
– হয়েছে হয়েছে আমি কি কোনদিন কুরআন শরিফ পড়িনি, জিকির করিনি?
– আমাদের বিবাহের আজ আট বছর, এই সময় তো আমার চোখে পড়েনি তুমি কুরআন নিয়ে বসছ,জিকির করে দেহ মন ফ্রেশ করছ। সুতরাং এত বড় ডাহা মিথ্যা কথা যারা বলে তাদের এই অসময়েই ইফতার করার সুসময়। না খেয়ে শরীরকে   অযথা কষ্ট দিয়ে লাভ কি? তুমি কি মনে কর তোমার এ রোযা তোমাকে আখেরাতে পার করে দিবে? ছাই! ছাই! ছাই!
– ঠিক আছে তওবা, তওবা, তওবা।
– প্রত্যেকদিন আমার সামনে হাজারবার তওবা তওবা না করে আল্লাহর সামনে সারাজীবন এক বারই তওবা কর, কাজে আসবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *