ককেশাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য সুযোগ দেখছে তুরস্ক

ককেশাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার অনন্য সুযোগ দেখছে তুরস্ক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ককেশাসে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিরোধে লিপ্ত পক্ষগুলোর পুনর্মিলনের এক অনন্য সুযোগ দেখছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হালুসি আকর এক নিবন্ধে এ মতামত ব্যক্ত করেছেন। নিবন্ধে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ান ও আজারবাইজানীয় সৈন্যদের মধ্যে ফ্রন্টলাইনে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা উভয়পক্ষকে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। পরিস্থিতি নাজুক। দ্রুত শান্তি চুক্তির জন্য যে আশা ছিল তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

নিবন্ধে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল, যা আজারবাইজানি অঞ্চলগুলোতে আর্মেনীয়দের তিন দশকের দখলদারিত্বের অবসান ঘটায়। চুক্তিটি এক মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত আজেরিদের নিজ বাড়িঘরে ফিরে যেতে অনুমতি দিয়েছে। এটি পুনর্মিলনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জাঙ্গেজুর করিডোর, আজারবাইজান ও নাখচিভান করিডোরের মধ্যে আর্মেনিয়ান ভূখণ্ডের মাধ্যমে একটি স্থল সংযোগের দাবি ছিলো আর্মেনীয়দের। বিনিময়ে আজারবাইজানও আর্মেনিয়া থেকে নাগোর্নো-কারাবাখ পর্যন্ত একটি ভূমি সংযোগ (লাচিন করিডোর) চেয়েছিল। এটি দুদেশের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

নিবন্ধে বলা হয়, আর্মেনিয়া, ইরান এবং তুরস্ক বেষ্টিত নাখচিভান করিডোর দিয়ে মানুষ এবং পণ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য এই করিডোরটি আজারবাইজানের জন্য জরুরি প্রয়োজন। এটি দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। জাঙ্গেজুর করিডোর অন্য কোনো দেশের জন্য হুমকি নয়। বিপরীতে এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।

আকর বলছেন, আজারবাইজান-আর্মেনিয়া শান্তি চুক্তি তুরস্ক-আর্মেনিয়া স্বাভাবিককরণে অবদান রাখবে। তুরস্ক ইতোমধ্যেই বিশেষ দূত নিয়োগসহ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া তৃতীয় দেশের নাগরিক ও কূটনীতিকদের জন্য যৌথ সীমান্ত ক্রসিং খুলতে সম্মত হয়েছে আঙ্কারা। তাছাড়া সরাসরি এয়ার কার্গো ট্রানজিট প্রাথমিক কূটনৈতিক যোগাযোগের আরেকটি ফল।

তিনি বলেন, অ্যালিকান-মারগারা সীমান্ত গেটটি খোলার প্রস্তুতি চলছে, যা ভূমিকম্প অঞ্চলে আর্মেনীয় সাহায্য এবং উদ্ধার কর্মীদের আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর্মেনিয়ার জনগণ এবং সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *