পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা। গণকবরে শিশুসহ ৪৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা মিলিশিয়ার সঙ্গে চরমপন্থী গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষের শিকার। খবর আল জাজিরা।
বুধবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, কঙ্গোর বুনিয়া শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পূর্বে উত্তর-পূর্ব ইতুরি প্রদেশের দুটি গ্রামে একাধিক গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, নিয়ামাম্বা গ্রামে একটি গণকবরে ৬ শিশুসহ মোট ৪২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পাশের এমবোগি গ্রামে ৭ জন পুরুষের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
কোডেকো মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহের শেষ দিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যায়। এর পরপরই শান্তিরক্ষীরা ওই এলাকায় টহল শুরু করে, বলে যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।
‘কো-অপারেটিভ ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব কঙ্গো’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করে ফারহান হক বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার জন্য গোষ্ঠীটি জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনায় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে মনুজকো নামে পরিচিত জাতিসংঘের আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা মিশন তদন্তের জন্য কঙ্গোলিজ বিচার ব্যবস্থাকে সহায়তা করছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতেও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইটুরি, উগান্ডার সীমান্তবর্তী একটি অশান্ত প্রদেশ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রদেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। লেন্দু সম্প্রদায়ের একজন শিক্ষককে হত্যার পর কোডেকো মিলিশিয়া প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করেছে, যা জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করে তারা।
কোডেকো শিক্ষকের মৃত্যুর জন্য জায়ার নামক একটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে। যারা কি না হেমা জাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।
দেশটিতে লেন্দু এবং হেমা সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ চলে আসছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর হস্তক্ষেপের আগে সেখানে কয়েক হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে।