৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোয় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো বহু মানুষ। সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণঘাতী এ বন্যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কিভু প্রদেশের সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রদেশটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে গত বৃহস্পতিবার একটি নদীর পানি উপচে পড়ে। এর ফলে বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি হয়।
দক্ষিণ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি জানিয়েছেন, বন্যায় ১৭৬ জন মারা গেছেন এবং আরো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেছেন, ইতিমধ্যে ২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। বন্যায় বহু স্কুল-হাসপাতাল ভেসে গেছে। শুক্রবার আবহাওয়া অনেকটা পরিষ্কার হয়ে আসার পরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এবং ছাদের ওপর কাদামাটির স্তর জমে থাকতে দেখা যায়। দক্ষিণ কিভুতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়।
সেখানে একই মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের অক্টোবরে। সে সময় ভারী বর্ষণে ৭ শতাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়। জাতিসংঘের মতে, ঐ ঘটনায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হন। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনার রেকর্ড হয়েছে।
গত মাসে উত্তর কিভু প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েক জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গত ডিসেম্বরে রাজধানী কিনশাসায় প্রবল বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ হারান অন্তত ১৬৯ জন।