পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাজারে শীতের শাকসবজি পাওয়া গেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি, মুরগিসহ বেশ কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিভিন্ন বাজারের পরিদর্শন করে এ কথা জানা যায়।
ক্রেতাদের আশঙ্কা, এখন থেকেই মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে হয়ে যাবে।
তবে দুর্মূল্যের বাজারে কমেছে চালের দাম। এ সপ্তাহে ঢাকার বাজারগুলোতে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কেজিপ্রতি আতশ, নাজিরশাইল ও আমন চালের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। কিন্তু বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম থাকায় পোলাও রান্নায় ব্যবহৃত চাল কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শীতকাল শেষদিকে এলেও শীতের সবজির ঝাঁজ এখনও কমেনি। বাজারে শিম-টমেটো ৫০-৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬৫ টাকা, লাউ আকারভেদে ৮০-১০০ টাকা এবং বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, করলার কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৫০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-৩০ টাকা এবং লেবুর হালি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দামও কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকা ছিল।
বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৪০-৪৫ টাকা, রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আদা ১২০-১৫০ টাকা, চায়না আদা ২৩০-২৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ১২০-১২৫ টাকা, লবণ ৩৮-৪০ টাকা, সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭ টাকা এবং লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামও কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেজিপ্রতিতে ব্রয়লার মুরগি দাম হয়েছে ১৭০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা। এছাড়া, সোনালি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজনে ১৩০-১৩২ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০-২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়ে এক ক্রেতা বলেন, “প্রতিনিয়তই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সামনে রমজান মাস আসছে। এখন থেকেই যদি দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে।”