২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে চান না অনেকে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্থানীয় লোকজনকে উৎসাহিত করতে প্রচারও চালাচ্ছেন। এ কারণে দেশজুড়ে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। দেশের নাগরিকদের দ্রুত টিকা দিতে গরুর হাটেও চলছে প্রচার ও টিকাদান কর্মসূচি।
বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও জাতীয় কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য শামসুল হক।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার জন্য জনগণের এই আগ্রহ বজায় থাকলে আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারব। আগামী শনিবার আমাদের ব্যাপক আয়োজন থাকছে। দেশজুড়ে ২৮ হাজার কেন্দ্রে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আশা করছি, ওই দিন পর্যন্ত দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট পূরণ হবে। ’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশে মোট দুই লাখ ৫৭ হাজার ১২৫ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হয় সাত লাখ ৩৯ হাজার ২৯১ জনকে। ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হয় আট লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ জনকে। ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দুই দিনে দেওয়া হয় ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৩ জনকে। আর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ মানুষকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘এক দিনে এক কোটি করোনার টিকাদান কার্যক্রম’। পরে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে গতকালও করোনার টিকাপ্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। আগামী শনিবারের পর থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না—এমন খবরে মূলত ভিড় বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গতকাল এলাকায় সকাল থেকে মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে হ্যান্ড মাইকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই প্রচার চালান। উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি গরুর হাটে কেন্দ্র করে টিকা দেওয়া হয়েছে লোকজনকে।