করোনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ : ট্রাম্প

করোনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ : ট্রাম্প

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়েই কাজে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিডিওবার্তাও দিয়েছেন। নিজের কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়াকে ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে এক ভিডিওবার্তা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় পাঁচ মিনিটের এ ভিডিওবার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হেই! সম্ভবত আপনি আমাকে চিনতে পারছেন। আমি আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট!’

প্রায় পাঁচ মিনিটের ভিডিওবার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বায়োটেক কোম্পানি রিজেনারনের পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়েও কথা বলেছেন। এন্টিবায়োটিক এ ককটেল দিয়ে তার চিকিৎসা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার জন্য তিনি চিকিৎসককে হাই ডোজ দিতে বলেন। ওই ওষুধ তার ভালো কাজ করেছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ওষুধটি আক্রান্ত আমেরিকানদের সহজলভ্য করার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। বিনাখরচে সবাই যেন সেটি পায়, সে জন্য তার সরকার কাজ করছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

‘এটি এক কথায় অবিশ্বাস্য। আমি চাই সবাই এই চিকিৎসাটাই নিক’-যোগ করেন ট্রাম্প।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্রাম্পের শরীরে কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ নেই বলে শন কোনলে জানিয়েছেন। এমনকি গত চার দিনেরও বেশি সময় ধরে তিনি জ্বরমুক্ত।

এক ভিডিওবার্তায় বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দারুণ অনুভব করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কী কী বিশেষ ওষুধ দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন। প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞের বরাতে বলা হয়েছে, এই গ্রহে ট্রাম্প সম্ভবত একমাত্র করোনা রোগী, যিনি এমন ওষুধ পেয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির আগে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেয়া হয়। এটি করোনাভাইরাসের মাত্রা কমাতে পারে। তা ছাড়া ট্রায়ালে এই থেরাপির ইতিবাচক ফল দেখা গেছে। ট্রাম্পকে অ্যান্টিবডি থেরাপির পাশাপাশি রেমডেসিভির ও ডেক্সামেথাসোনও দেয়া হয়েছে।

করোনা পজিটিভ হওয়ার পর শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হন ট্রাম্প। সোমবার তিনি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন। ট্রাম্পের কোনো ধরনের অক্সিজেন সাপোর্টও প্রয়োজন হয়নি বলে জানান কোনলে। হাসপাতাল থেকে ফিরে মাস্ক খুলে ফেলে সমালোচিত হন ট্রাম্প। এ ছাড়া ‘করোনা সাধারণ ফ্লু ছাড়া কিছু নয়’ বলে মন্তব্য করে ফের বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন। দেশটিতে ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি লোক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *