করোনা ভাইরাস আল্লাহর গজব : আল্লামা মাসঊদ
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বজুড়ে যে আগ্রাসী আক্রমণ করেছে করোনা সেটিকে মহান আল্লাহ তাআলার গজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেটি আল্লাহ তাআলার একটি গজব। একটি পরীক্ষা। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদেরকে আল্লাহর কাছেই ফিরতে হবে। এছাড়া আর কোনো পথ নেই।
চীনা সরকারের সমালোচনা করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, চীনের মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর রহমত আছে। তারা হারাম হালাল ঠিক ঠিক চর্চা করার কারণে তুলনামূলক তারা সংরক্ষিত আছে। এখনো সেই তুলনায় চীনা মুসলমানদের উপর করোনা আক্রমণ করেনি। তবে এই গজব থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছেই মানুষকে ফিরতে হবে।
কারও ক্ষমতাই চিরকালের নয় উল্লেখ করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, চীনা সরকার মুসলমানদের উপর প্রচণ্ড নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের ইসলামের ইতিহাস পড়া উচিত। কাবার ইতিহাস পড়া উচিত। পৃথিবীর কোনো ক্ষমতাই টিকেনি। আল্লাহর সামনে কারও ক্ষমতায়ই টিকবার নয়। কাবা ধ্বংস করতে এসে আবরাহার হস্তিবাহিনী নিজেরাই ধ্বংস হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ০৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডা পশ্চিম পদরদিয়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদে মাগরিবের পর ইসলাহী মাহফিলের প্রধান অতিথির আলোচনায় মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.)-এর এই খলীফা শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর সব ক্ষমতাধরদের সতর্ক করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, করোনা ভাইরাস ঠেকানোর জন্য পৃথিবীর কোনো ক্ষমতাই কাজে লাগছে না। আমেরিকা, ইটালী, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ কারও কোনো অস্ত্রের ক্ষমতায় করোনা ভাইরাস ঠেকানো যাচ্ছে না। কাবা রক্ষাকারী যে আবাবিল পাঠিয়েছিলেন আবরাহাও তখন বাঁচতে পারেনি। বিশাল ক্ষমতাধর হয়েও তাকে পরাজিত হতে হয়েছিল।
পৃথিবীর ক্ষমতাধরদের তা স্মরণে রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হারাম উপার্জন আল্লাহ সব ধরনের বরকত ছিনিয়ে নেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, হালাল উপার্জন ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে যেমন বিরাট নেয়ামত, ঠিক তেমনি হারাম উপার্জনের প্রভাব অত্যন্ত মারাত্মক। হারাম উপার্জনের ফলে আল্লাহ তায়ালা মানবজীবন থেকে সব ধরনের বরকত ছিনিয়ে নেন। রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, সর্বদা হালাল রুজি অর্জন করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কেননা তা মানুষকে ধার্মিক হিসেবে বাঁচতে সাহায্য করে। রমজান মাসের আগেই হারাম উপার্জনে থেকে বাঁচার কথা বলেন তিনি।