পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হিজাব নিয়ে কয়েক মাসের বিতর্কের পর ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে রায় দেয়া হয়েছে, ক্লাসরুমে হিজাব পরে উপস্থিত হওয়া যাবে না। কারণ হিজাব পরা ইসলামী বিশ্বাসে অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ নয়। এই রায়ের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা।
আলমাস নামের একজন কলেজ ছাত্রী বলছেন, তিনি হিজাব ছাড়া কলেজে যাবেন না। ক্লাসরুমে হিজাব পরার ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি রিট করেছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত তার সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।
শুধু আলমাস নন, হিজাব নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় আসার পর আরো অনেকেই আপাতত কলেজে যেতে রাজি হচ্ছেন না। হাইকোর্ট বলছেন, হিজাব পরা ইসলামী বিশ্বাসে অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ নয়। এর প্রেক্ষিতে এক ভিডিওতে আলমাস পবিত্র কোরআনের একাধিক অধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেছেন, হিজাব পরা মুসলিম নারীর জন্য বাধ্যতামূলক।
হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে কলেজের ক্লাসে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধার মুখে পড়বেন তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে তিনি এবং তার মতো অনেকেই কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেবেন।
আলমাস আরো বলেন, কোভিড শুরুর আগে থেকেই হিজাব পরা মুসলিম মেয়েদের সাথে ক্লাসে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছিল। তবে শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করার আগেই কোভিডের কারণে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। কোভিডের পরে স্কুল খোলা হলে বিষয়টি আবার বেড়েছে।
এ নিয়ে বিধানসভায় যেমন কথা ওঠে, তেমনি তা যায় আদালতের কাছে। বেশ কয়েকবার রায়ের তারিখ পেছানোর পর সম্প্রতি এ ব্যাপারে হাইকোর্ট জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে যাওয়া যাবে না।