কলকাতায় ৪ দিনে ১১০ কোটি টাকার মদ বিক্রি

কলকাতায় ৪ দিনে ১১০ কোটি টাকার মদ বিক্রি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ভারতে লকডাউনের মধ্যেই মদ বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার (০৪ মে) থেকে বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতায় বিক্রি হয়েছে ১১০ কোটি টাকার মদ। তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আয় প্রায় ৭০ কোটি টাকা। কলকাতা ও আশপাশের এলাকার দোকানগুলোতে দিনে ৪০০-৫০০ মদের অর্ডার এসেছে। কলকাতায় একটি বৃহৎ বিভাগীয় বিপণিতে সেই মদ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও মদ্যপায়ীদের স্বস্তি দিতে অনলাইনে মদ কেনার ব্যবস্থা করেছে দেশটির সরকার। ‘ই-রিটেল’ নামে মোবাইল অ্যাপ চালু করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মদ কিনতে চেয়ে ১১ হাজার মানুষ কল দিয়েছেন। ওই বরাতের মূল্য তিন কোটি টাকা। পরিস্থিতি এমনই যে, আবগারি দফতর অসংখ্য বাড়িতে মদ পৌঁছে দিতে অপারগ। তাই আপাতত ই-রিটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। ১১ হাজার মদ্যপায়ীর বাড়িতে মদ পৌঁছে দেয়ার পরে ফের তা চালু হবে।

নবান্নের খবর, খুচরা বিক্রেতারা রাজ্য বেভারেজ কর্পোরেশন থেকে ইতোমধ্যেই ৩০০ কোটির মদ কিনে দোকানে মজুত করেছেন। আবগারি দফতর জানানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ লিটার মদ বিক্রি হচ্ছে। প্রায় আড়াই হাজার দোকানে দিনে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ কোটি টাকার মদ

আবগারি দফতরের কর্তারা অবশ্য জানান, মদের বিক্রি নিয়ে যত হইচই চলছে, বাস্তবে রোজগার ততটা হচ্ছে না। আরও বেশি রোজগারের কথা ছিল। এক আবগারি-কর্মকর্তা বলেন, রোজ গড়ে যে-পরিমাণ মদ বিক্রি হয়, এখন তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বিক্রি হচ্ছে। অনেক জায়গায় দোকান খোলা হয়নি। বার, রেস্তরাঁ, হোটেলেও মদ বিক্রি বন্ধ। প্রতিদিন যে-রাজস্ব সরকারের ঘরে আসে, লকডাউনের মধ্যে আসছে তার অর্ধেক। তবে ৩০% অতিরিক্ত বিক্রয়কর চাপানোর ফলে কম মদ বিক্রি হলেও তুলনায় রোজগার হচ্ছে বেশি।

আবগারি দফতরের তথ্য, রাজ্যে প্রতিদিন ১৫ লাখ লিটার মদ বিক্রি হয়। তাতে রোজ রোজগার হয় ৪০-৫০ কোটি টাকা। এখন রোজ গড়ে পাঁচ লাখ লিটার মদ বিক্রি হচ্ছে, রোজগার হচ্ছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। লকডাউন উঠে গেলে এই রোজগার প্রতিদিন ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আবগারি-কর্মকর্তাদের আশা।

তবে রাজ্যের মানুষ প্রথম দিন বাদ দিয়ে যেভাবে ধৈর্য ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মদ কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন, মাস্ক পরে পারস্পরিক দূরত্বের নিয়মবিধি মানছেন, আবগারি দফতরের কর্মকর্তারা তাতে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *