কাজা রোজা রাখতে আলাদা নিয়ত করতে হবে?

কাজা রোজা রাখতে আলাদা নিয়ত করতে হবে?

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে।

মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারীর নিজের বা বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে রমজানে রোজা না রেখে পরে কাজা করার বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫; তিরমিজি, হাদিস: ৭১৫)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

রমজানের কাজা রোজার ব্যাপারে সব ইমাম একমত যে, কোনো ব্যক্তি যে কয়দিনের রোজা রাখতে পারেনি সে কয়দিনের রোজা কাজা করবে।

রোজার কাজা আদায়ের জন্য নিয়ত করা জরুরি। কারণ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, প্রতিটি আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ নিয়তবিহীন কোনো আমল আল্লাহর কাছে কবুল হবে না, তা দ্বারা দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না। তাই প্রতিটি আমল শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত নিয়ত। অন্য সব ইবাদতের মতো রোজার জন্যও নিয়ত করা ফরজ।

রমজান মাসের প্রতিটি কাজা রোজার জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত শর্ত। তবে মুখে না বলে কাজা রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা ও সাহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার কাজা রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম। (সূত্র : তাবয়ীনুল হাকায়েক- ১/৩১৫, ফাতহুল কাদীর- ২/৩১২, ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/৫৭)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *