কানাডায় শিখ নেতার মৃত্যুর সঙ্গে ভারত জড়িত: ট্রুডো

কানাডায় শিখ নেতার মৃত্যুর সঙ্গে ভারত জড়িত: ট্রুডো

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: কানাডীয় শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের সরাসরি সম্পৃক্তা থাকার অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে ট্রুডো বলেন, হরদিপ সিং নিজ্জারকে ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করা হয়েছে যার নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রুডো সাম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

ট্রুডো বলেন,‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।

এই ঘটনা স্বাধীন, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পরিপন্থী।’ তিনি আরো বলেন, কানাডিয়ান নিরাপত্তা সংস্থা নিজ্জার হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টদের সম্ভাব্য যোগসূত্রের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে।
তবে মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ট্রুডোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কানাডায় যেকোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় গত ১৮ জুন একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হারদীপ সিং নিজ্জারকে। ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ৩০ কিমি (১৮ মাইল) পূর্বে অবস্থিত শহর সারেতে গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারে দুই মুখোশধারী বন্দুকধারী নিজ্জারকে তার গাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। হারদ্বীপ সিং নিজ্জার ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আলাদা ও স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার তৎপরতায় যুক্ত থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন। সেখানে সাধারণ শিখরা প্রায়ই স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে মিছিলসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকেন। এ বিষয়টি নিয়ে কানাডার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ভারত।
হত্যার বিষয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার জেরে কানাডা এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

তারা নাম পবন কুমার রাই। বহিষ্কৃত ওই কূটনীতিক কানাডায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতও কানাডীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। সংশ্লিষ্ট কূটনীতিককে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *