নিজস্ব প্রতিবেদক ● কারামুক্তির পর আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সন্ত্রাসমুক্ত বিশ্ব গড়ায় কাজ করছেন বলে অভিমত জানিয়েছেন বেফাকুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়ার মহাসচিব ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি মুফতি মুহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ২০০৫ সালের আগস্টে আল্লামা মাসঊদকে কারাগারে নিয়ে চরম ভুল করেছিল।
চক্রান্তের জাল ভেদ করে মাওলানা মাসঊদ আল্লাহর ভালোবাসা কুড়িয়েছেন দাবী করে মুফতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ১৫ মার্চ মুক্ত হয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেছিলেন ‘আমার জীবনে আল্লাহপ্রেমের এই সময় আর পাবো না। ইবাদতের এই নিবিড় সময় আর কীভাবে পাবো। কখনোই পাইনি।
তিনি বলেন, আল্লামা মাসঊদ মাকামে বেলায়েত তথা আল্লাহপ্রেমের অবস্থান থেকে মাকামে নবুওয়াত তথা নবুওয়াতী কর্মাবস্থানে কারামুক্তির পর নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
আজ ১৫ মার্চ ২০১৭ বুধবার সকালে ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খিলগাঁও ইকরা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা ও দুআ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মাসঊদকে বর্তমান সময়ের শাহ আবদুল আযিয মুহাদ্দিসে দেহলবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ আছেন দাবী করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হুসাইনুল বান্না বলেন, কারণ, তাঁর ফাতওয়া যেমন ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিল ঠিক তেমনি ইংরেজদের প্রেতাত্মা মওদূদীবাদের চূড়ান্ত পতনও আল্লামা মাসঊদের ফাতওয়া ও তাঁর অদমনীয় অবস্থানের কারণেই সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে আল্লামা মাসঊদকে যারা গ্রেফতার করেছিল তাদের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
কারামুক্তি আন্দোলনের নেতা মাওলানা সুলাইমান বলেন, বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আল্লামা মাসঊদকে শয়তানীচক্র পদানত করতে পারেনি।
সভাপতির আলোচনায় বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী বলেন, আল্লামা মাসঊদ বর্তমান যুগে সৃষ্টিপ্রেমের অনন্য প্রতীক। দেশ. জাতি ও মানবতার কল্যাণে তাঁরমতো দুর্জয় ও কর্মব্রত দ্বিতীয় আরেকজন আমি দেখিনি। চক্রান্তকারীরা তাকে গ্রেফতার করে নববী আলোর এই কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা মাসঊদুল কাদির, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, মাওলানা মুহাম্মদ সালমান, মাওলানা আযিযুল মুনতাকিম প্রমুখ।
patheo24/mr