কারো মৃত্যুর জন্যে আপনিও কি দায়ী হচ্ছেন?

কারো মৃত্যুর জন্যে আপনিও কি দায়ী হচ্ছেন?

কারো মৃত্যুর জন্যে আপনিও কি দায়ী হচ্ছেন?

যোবায়ের বিন আরমান :: যারা সারাক্ষণ ভীতিকর খবর প্রচার করে এরা কিয়ামতের দিন বহু মানুষের পরোক্ষ হত্যাকারী হিসাবে চিহ্নিত হবে।আজকাল জ্বর হলেই মানুষ ভাবে এই বুঝি করোনা এলো! এই ভাবনাতেই সে দূর্বল হয়ে পড়ে।ঘরের লোকেরা তাঁকে আঁড়চোখে দেখে। প্রতিবেশীরা তাঁকে ঘৃণা করে। এমনকি এলাকা থেকে বের করে দেয়। এইসব অপকর্মের দায়বার তাদেরকেও বহন করতে হবে যারা সতর্কতার নামে ভীতিকর সংবাদ প্রচার করে।

রোগ হলে রাসুলুল্লাহ কী বলতেন?
রোগ যত কঠিনই হোক, রাসুলুল্লাহ পাশে গিয়ে বলতেন, “আরে কিছুই না, এগুলো কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।”

আর আমরা প্রচার করছি, এই এলো এলো! সব শেষ হয়ে যাবে। এতোলাখ মারা যাবে। লাশের পাহাড় হবে! করোনার আলামত এই! অমুক এলাকায় এমুক নাই! ছটফট করতে করতে চলে গেলেন দাদু ভাই! হায় হায় বাঁচাও আল্লাহ বাঁচাও! আমার এলাকায় করোনা চলে এসেছে! আমাদের জেলায় দশ জন! বাঁচার উপায় নেই!

এই হলো আমাদের সারাক্ষণ প্রচার! যা ইসলামি শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। এই প্রচারের কারণেই জ্বরাক্রান্ত রোগী একাকি মারা যাচ্ছে নির্জন কক্ষে, মাঠে বা ঘাটে। লাশটা পর্যন্ত নিচ্ছে না আত্মীয়স্বজন।

এসবের দায়ভার তাদেরও যারা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

যুদ্ধে শত্রুকে পরাজিত করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো তাদের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। এখন এটাই করছেন করোনার বন্ধুরা।

অদ্ভুত এক বিশ্ব! যেখানে মানুষই মানুষকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারতে চাইছে।ফেলে রাখো তোমাদের টেস্ট! অথবা টেস্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন দুইশ করে কমিয়ে প্রচার করোক সরকার। দেখবেন মাত্র পনের দিনেই শক্তি ফিরে পাবে সোনার বাংলাদেশ।

লেখক : কলামিস্ট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *