কিশমিশের যত গুণ!

কিশমিশের যত গুণ!

পাথেয় ডেস্ক : আঙুর রোদে শুকানো হলে সেটাই কিশমিশ হয়। সাধারণত বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, কিশমিশ একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। এমনকি কিশমিশ ভেজানো পানিও শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী। কিশমিশ পাকস্থলীর জন্য ভালো। এটা সহজেই হজম হয় এবং শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে দমন করতে সাহায্য করে।

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমশক্তি বাড়ায়। এ কারণে এটি কোষ্টকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে দারুণ সহায়ক। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি থাকে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সংক্রমণ সারাতে সহায়তা করে। কিশমিশ ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। যা হাড় সুরক্ষায় সহায়তা করে।
খাদ্য তালিকায় যদি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার থাকে তাহলে তা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কিশমিশে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শুধু ক্যানসারের সেলই ধ্বংস করে না বরং নানাভাবে ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির তথ্য অনুসারে, কিশমিশ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে কিশমিশ।

প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় কিশমিশ শক্তি উৎপাদনেরও ভালো উৎস। ঠান্ডা, কাশি কিংবা জ্বর সারাতেও কিশমিশ বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, কিশমিশ শরীরে সারা দিনের শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে। কিশমিশ ভেজানো পানি লিভার ও কিডনির জন্যও বেশ উপকারী।

উপকরণ : দুই কাপ পরিমাণ পানিতে ১৫০ গ্রাম কিশমিশ সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে কিশমিশ ছেঁকে নিয়ে সেই পানি হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। সপ্তাহে চার দিন এটা খেলে উপকার পাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *