১লা মার্চ, ২০২১ ইং , ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রজব, ১৪৪২ হিজরী
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুমিল্লায় ডাকাতি শেষে ছুরিকাঘাতে সেনা সদস্য আবদুর রহমানকে (৩০) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আলোচিত এ মামলার রায়ে চারজন ডাকাতকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আরেকজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন কারাদ-প্রাপ্ত ব্যক্তি।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট মাসুদ ইকবাল চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট মাসুদ ইকবাল চৌধুরী জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওরফে বাবুল, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া ইস্কান্দর বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া ওরফে জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল মিয়া ও হবিগঞ্জের আলী আক্কাস। আর দশ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত আসামির নাম আলী আক্কাস। তিনিও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বাসিন্দা। এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর চলন্ত ট্রেনে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের নির্মম ছুরিকাঘাতে বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন সদস্য আবদুর রহমান (৩০) নিহত হন। ওইদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট রেল স্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইনের মাঝখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ। নিহত ওই সেনা সদস্যের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।