পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের অমানবিক নির্যাতনে মুসলিম উম্মাহর নীরবতা দেখে অবাক হয়েছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত সাবেক জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল। তিনি গোটা জাতির এই নীরবতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরা জানিয়েছে, ওজিল তার ব্যক্তিগত টুইটার একাউন্টে টুইট করে পূর্ব তুর্কিস্তানকে মুসলিম উম্মাহর ‘রক্তের মিনার’ আখ্যা দিয়েছেন। পশ্চিমা গণমাধ্যমসমূহ উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের অমানবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরার পরও ইসলামি বিশ্বের নীরবতা তাকে অবাক করছে বলে জানান এই আর্সেনাল সুপারস্টার।
উইঘুর মুসলিমদের ধর্ম পালন না করতে চীনের চাপাচাপির কঠোর বিরোধিতা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পূর্ব তুর্কিস্তানে কুরআন আগুনে জ্বালানো হচ্ছে, মসজিদে তালা দেয়া হচ্ছে, মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, একে একে হত্যা করা হচ্ছে ওলামায়ে কেরামকে, যুবকদের বন্দী করে দাসত্বের জীবনের সম্মুখীন করা হচ্ছে। এরপরও মুসলিম উম্মাহ এখন নীরব।’
উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনাদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মুসলিম ঘর থেকে পুরুষদের সেনাছাউনিতে বন্দী করে রেখে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একটি মেয়েকে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে একজন কমিউনিস্ট পুরুষের সঙ্গে। প্রতিটি পরিবারেই একজন কমিউনিস্ট এই মিশন বাস্তবায়ন করছে চীন সরকার।’
ওজিল আরও উল্লেখ করেন, এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত নীরব, তাদের তরফ থেকে কোন আওয়াজ নেই, প্রতিবাদ নেই। উইঘুর মুসলিম ভাইদের প্রতিরক্ষার জন্য কার্যত কোন ভূমিকাই তারা গ্রহণ করছে না। তারা কি জানে না যে, জুলুম-অত্যাচারে সম্মতি আরেকটি ভিন্ন জুলুম!
উইঘুর মুসলিমদের জন্য দুআ করে ওজিল লিখেন, হে মহান প্রতিপালক! পূর্ব তুর্কিস্তানে আমাদের উইঘুর ভাইদের সঙ্গে থাকো। আল্লাহ চক্রান্তকারীদের জন্য উত্তম প্রতিশোধ গ্রহণকারী।