কুরবানী ও মাসাইল

কুরবানী ও মাসাইল

মুফতি শেখ আনওয়ার আমীর : আরবি ভাষায় ‘কুরবানী’  শব্দটির অর্থ করা হয়েছে, নৈকট্য লাভ করা, সান্নিধ্য অর্জন করা, কাছাকাছি যাওয়া, সুহবত লাভ করা ইত্যাদি। মৌলিকভাবে কোনো উদ্দেশ্যে, লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য যে কোনো উপায় অবলম্বন করাকে কুরবানী বলে।  কেউ কেউ বলেছেন, কারো জন্য কোনো ত্যাগ করাই কুরবানী। শরিয়তের পরিভাষায় কুরবানী বলা হয়, মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশে হালাল কোনো পশু আল্লাহর নামে জবাই করাকে।

পৃথিবী শুরু হয়েছে হযরত আদম আ. থেকে। তার ছেলেদের দিয়েই মহান আল্লাহ কুরবানীর মতো একটি অনন্য আমলের সূত্রপাত করেন। পৃথিবীতে আগত সব মানুষের জন্য রেখে গেছেন নীতি ও নৈতিকতার এক বিরল ইতিহাসও । হযরত আদমের দুই সন্তান হাবিল ও কাবিল ছিলেন কুরবানীর উদ্দিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ঘটনার মূল  কেন্দ্রবিন্দু ছিল আজকের সমাজে পণ্য হয়ে ওঠা নারী। একজন সুন্দরী নারী পাওয়ার আগ্রহেই দু’জন আদম সন্তান বিবাদে জড়িয়ে যান। তখন হযরত আদমের এক জোড়া সন্তানের [ ছেলে ও মেয়ে] সঙ্গে অপর জোড়া সন্তানের [ ছেলে ও মেয়ে] সঙ্গে বিয়ে হতো। কাবিল এই বিধান অমান্য করলেই সমস্যা বেধে যায়। জাতির পিতা হযরত আদম আ. এ বিবাদ মেটানোর নিমিত্তে তাদের উভয়কেই দুম্বা কুরবানী দেয়ার নির্দেশ করলেন। তিনি বললেন, যার কুরবানী আল্লাহর দরবারে কবুল হবে, তার কুরবানী আকাশ থেকে আগুন এসে জ্বালিয়ে দেবে এবং তার সঙ্গেই বিয়ে হবে।

মহান আল্লাহ সব সময় সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চান। পৃথিবীর সূচনাতেও সত্যকেই জিতিয়ে দিলেন মহান আল্লাহ। পবিত্র কুরআনে কত নির্জলা ভাষায় মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আদমের দুই ছেলের বৃত্তান্ত তুমি তাদেরকে শোনাও। তখন তারা উভয়ে কুরবানী করেছিল তখন একজনের কুরবানী কবুল হলো, অন্যজনের কুরবানী কবুল হলো না। সে বললো, আমি তোমাকে হত্যা করবোই, অন্যজন বললো, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মুত্তাকীদের কুরবানী কবুল করেন।’ [সূরা মায়িদা : আয়াত ২৭]

দায়িরাতুল মারিফের এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হযরত নূহ আ. জন্তু জবাই দেয়ার জন্য একটি কুরবানীর জায়গা [কুরবানীর মাঠ] তৈরি করেছিলেন। মাঠে তিনি জবাই করা পশু আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতেন।

কুরবানী উপলক্ষ্যে হযরত ইবরাহীম আ. দিয়েছিলেন সবচেয়ে বড় ত্যাগ। কতটা বছর প্রভুর দরবারে চেয়ে শেষে হযরত ইসমাঈলের মতো ফুটফুটে কত চমৎকার বালক মহান আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন। এ বালককে দিয়েই তিনি আবার একটি বড় পরীক্ষা নিলেন। ইবরাহীম আ. ছিলেন খলিলুল্লাহ, আল্লাহর বন্ধু। বন্ধুত্বের এত বড় পরীক্ষা দিতে হয় পৃথিবী হয়তো এর আগে জানতোই না। হযরত ইবরাহীম পরীক্ষা দিলেন, উত্তীর্ণ হলেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট অবতীর্ণ পবিত্র কালামে মহান আল্লাহ খুব সাবলীলভাবে বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন, ‘অতঃপর সে যখন তার বাবার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহীম আ. তাকে বললেন, বৎস, আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবেহ করছি। এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললো, পিতা-আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ চাহেতো আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করলো এবং ইবরাহীম আ. জবেহ করার জন্য শায়িত করলো। তখন আমি তাকে ডেকে বল্লাম, হে ইবরাহীম, তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে,  আমি এভাবেই সৎকর্মীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।

[সূরা : আসসাফ্ফাত, আয়াত : ১০২-১০৭]

হযরত ইসমাঈলের মতো আনুগত্যশীল বালক ক’জন আর আছে। হযরত ইবরাহীমের চোখের মণি ইসমাঈল যখন সন্তুষ্টিচিত্তে রাজি হলেন কুরবানীর জন্য তখন আর জাতির পিতা হযরত ইবরাহীমের আনন্দদ্যুতি চোখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। মহান আল্লাহ দেখলেন, তার মুত্তাকী বান্দার ত্যাগের মহিমা। তিনি খুশি হয়েই জান্নাতী জন্তু পাঠালেন। হযরত ইবরাহীম আ. এর এই ত্যাগের স্মৃতিসাক্ষরই আমরা করি জিলহজের ১০, ১১, ১২ তারিখে। প্রেমময় আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনই প্রধান লক্ষ্য থাকে আমাদের। মুসলমানদের এই আমল উদযাপনে সারা পৃথিবীতে শুরু হয় এক নতুন জাগরণ। এটা পশু জবাইয়ের প্রতিযোগিতা নয় বরং এটা হলো নিজেকে আল্লাহপ্রেমে লীন করার অপূর্ব এক সাধনা।

প্রতিটি যুগেই কুরবানীর কথা পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই কুরবানী নতুন কিছু নয়।

কুরবানীর গুরুত্ব : কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই মহান আল্লাহর দরবারে তা পৌঁছে যায়। হযরত আয়েশা রা. থেকে  বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কুরবানীর দিন আল্লাহর কাছে রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে [কুরবানীর চেয়ে]  বনি আদমের জন্য অন্য কোনো আমল বেশি পছন্দনীয় নয়। কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, পশম ও হাড়সহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে। আর কুরবানীর পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা কুরবানী করে নিজেদের হৃদয়কে সন্তুষ্ট রাখো। [তিরিযিমি]  নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবজাতিকে কুরবানীর প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘ কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি  নেকি পাওয়া যায়। সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসূল, যদি জন্তুটি পশমবিশিষ্ট হয়Ñ তখন নির্দেশনা কেমন? তিনি বললেন, এ জন্তুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে সওয়াব পাওয়া যাবে। [মিশকাত] মিশকাতের অন্য হাদীসে আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দশ বছর মদীনা শরীফ অবস্থান করেন এবং প্রতি বছর নিয়মিত কুরবানী করেছেন।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘ইবরাহীম ও তার সাথে যারা ছিল তাদের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে’। [সূরা আলমুমতাহিনা : আয়াত ০৪]। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এটি তোমাদের পিতা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর সুন্নত। [সূনান ইবন মাজাহ -৩১২৭]

আর যিনি কুরবানীর অবহেলা প্রদর্শন করেন, সামর্থ থাকার পরও কুরবানী দিতে উৎসাহিতবোধ না করেন, তাকে আল্লাহর রসূল ধমকের সুরে সতর্ক করেছেন, হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুবরবানী করলো না, সে যেন আমাদের ঈদগায়ের কাছেও না আসে। [ইবন মাযা, মুসনাদে আহমদ]

কুরবানি নিছক শুধু উৎসব বা ফূর্তি নয়। এর মাঝে অনেক শিক্ষা ও ফায়দা রয়েছে। তাই আমলটির বিধিধিান নিয়ম কানুন জেনে নেয়া কর্তব্য। কুরবানিসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল নিচে দেয়া হলো।

উযহিয়া : (আমাদের সমাজে যা কুরবানী নামে পরিচিত) সেই গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুকে বলা হয়, যা কুরবানীর দিনগুলোতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে বাড়িতে জবাই করা হয়। [আল্ মুলাখ্খাস আল্ ফিকহী/২১৩]

হাদ্ঈ : সেই চতুষ্পদ জন্তুকে বলা হয়, যা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানীর দিনগুলিতে হারামে (মক্কায়) জবাই করা হয় ‘তামাত্তু’ কিংবা ‘কিরান’ হজ করার কারণে কিংবা হজ বা উমরার কোন ওয়াজিব কাজ ছুটে যাওয়ার কারণে কিংবা ইহরাম অবস্থার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার কারণে। [ফিক্হ বিশ্বকোষ, ৫/৭৪, শব্দ উয্হিয়্যাহ] যেহেতু এই পশুকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে হাদিয়া করা হয়, তাই তাকে হাদ্ঈ বলে। [আল্ মুলাখ্খাস আল ফিকহী, ড.ফাউযান,৩১৩]

উভয়ের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্যটি হচ্ছে, হাদ্ঈ হজ বা উমরা পালনকারীর পক্ষ থেকে মক্কায় যবাই করা হয় এবং উযহিয়া হজ বা উমরা পালনকারী নয়, এমন ব্যক্তির মাধ্যমে নিজ বাসস্থানে যবাই করা হয়।

হজ ও উমরায় হাদ্ঈতে শরীক হওয়ার দলিল : হজ কিংবা উমরা করার সময় একটি হাদ্ঈতে সাত ব্যক্তি শরীক হয়ে কুরবানী দেয়ার একাধিক প্রমাণ সহীহ হাদিসে বিদ্যমান।  জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আালাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজের উদ্দেশ্যে বের হলাম। অতঃপর তিনি  আমাদের উট ও গরুতে শরীক হওয়ার আদেশ দেন। আমাদের মধ্যে প্রত্যেক সাত জনকে একটি উটে। [মুসলিম, অধ্যায়, হজ, অনুচ্ছেদ নং ৬২, হাদীস নং ৩৫১]

আবদুল্লার পুত্র জাবির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে হজ করলাম। অতঃপর ৭ জনের পক্ষে একটি উট নহর করলাম এবং ৭ জনের পক্ষে একটি গাভী। [মুসলিম, অধ্যায়, হজ, অনুচ্ছেদ নং ৬২, হাদীস নং ৩৫১]

এ প্রসঙ্গে জাবের রা. কর্তৃক বর্ণিত আরো কয়েকটি হাদীস সহীহ মুসলিমের উপরোক্ত অনুচ্ছেদে দেখা যেতে পারে।

কুরবানীতে শরীক হওয়ার প্রমাণ : উপরে বর্ণিত হদীসগুলিতে শরীক হওয়ার বিষয়টি যেহেতু হজ-উমরার হাদ্ঈতে সংঘটিত হয়েছে, তাই অনেকে হয়ত বিষয়টা হাদ্ঈর সাথে সম্পৃক্ত মনে করতে পারে, যদিও তা শুধু হাদ্ঈর সাথে নির্দিষ্ট নয়।

ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা সফরে ছিলাম। এমতাবস্থায় কুরবানীর সময় উপস্থিত হল। তাই আমরা একটি গাভীতে সাত জন শরীক হলাম এবং উটে দশ জন। [তিরমিযী,

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫

নেসাবের মেয়াদ : মাসআলা কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২

কুরবানীর সময় : মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫

নাবালেগের কুরবানী : নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রƒপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

মুসাফিরের জন্য কুরবানী : যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী : নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম : দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

কুরবানী করতে না পারলে : কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *