পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম উম্মাহর সার্বজনীন দুটি উৎসবের অন্যতম একটি। এই ঈদে কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে অথচ সে কুরবানী করেনি সেজন্য আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ – ৩১২৩; মুস্তাদরাকে হাকেম – ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫]
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পাঠকদের জন্য কুরবানী সংশ্লিষ্ট শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক কিছু মাসাআলা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন ‘আল জামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা’ হারিনালের শিক্ষক মুফতি আব্দুল মুহাইমিন। আজ চতুর্থ পর্ব-
৭. জবাইয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির সহযােগিতা
মাসআলা: পশু জবাই করার ক্ষেত্রে অনেক সময় জবাইকারী জবাই করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে কসাই বা অন্য কেউ এসে ছুরি ধরে এবং বাকি জবাই পূর্ণ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে শােনা যায় না। যদি প্রথম ব্যক্তির জবাই সম্পন্ন না হয় (অর্থাৎ দুই শাহরগ, শ্বাস নালী ও খাদ্যনালী-এ চারটির কমপক্ষে তিনটি কাটা না হয়) তাহলে দ্বিতীয় জনকে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে। অন্যথায় জবাই শুদ্ধ হবে না এবং ওই পশুর গােস্ত খাওয়া হালাল হবে না। [রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪]
৮. শরিকি কুরবানীর গােস্ত ওজন না করা
মাসআলা: শরিকি কুরবানী করার ক্ষেত্রে অনেক কুরবানী দাতা গােস্ত ওজন করাকে সংকীর্ণতা ভাবে এবং তা খুব অপছন্দ করে। এটাকে সংকীর্ণতা, বাড়াবাড়ি ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করে। অথচ শরিকি কুরবানীর গোস্ত শুধু অনুমান করে বণ্টন করা শরীয়তে সম্পূণ নাজায়েয। [কাযী খান ৩/৩৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭]
আরও পড়ুন: কুরবানী সংশ্লিষ্ট মাসআলা | তৃতীয় পর্ব