পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম উম্মাহর সার্বজনীন দুটি উৎসবের অন্যতম একটি। এই ঈদে কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে অথচ সে কুরবানী করেনি সেজন্য আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ – ৩১২৩; মুস্তাদরাকে হাকেম – ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫]
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর পাঠকদের জন্য কুরবানী সংশ্লিষ্ট শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক কিছু মাসাআলা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন ‘আল জামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা’ হারিনালের শিক্ষক মুফতি আব্দুল মুহাইমিন। আজ পঞ্চম পর্ব-
৯. পশু কেনার পর যদি ত্রুটি দেখা দেয়
মাসআলা: কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ ত্রুটি দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না, তাহলে ওই পশু দিয়ে কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি ত্রুটিমুক্ত পশু কুরবানী করতে হবে। তবে কুরবানী দাতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। [খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫]
১০. জবাইয়ের আগে চামড়া বিক্রি
মাসআলা: অনেক সময় চামড়াক্রেতাদের পীড়াপীড়িতে পশু জবাইয়ের আগেই চামড়া বিক্রি করে ফেলে। এমনকি মূল্যও নিয়ে নেয়। এমনটি করা নাজায়েয। চামড়া ছিলার আগে বিক্রি করা জায়েয নয়। তাই প্রয়ােজনে জবাইয়ের আগে বিক্রির ওয়াদা করা যেতে পারে, বিক্রি করা যাবে না। [আলমগীরী ৩/১২৮; আদুররুল মুখতার ৫/৬৩]
১০. কুরবানীর গােস্ত বিধর্মীদের দেওয়া
মাসআলা: অনেকে মনে করে, কুরবানীর গােস্ত হিন্দু বা বিধর্মীদেরকে দেওয়া জায়েয নেই। এধারণা ভুল। বিধর্মীদেরকেও কুরবানীর গােস্ত দান করা জায়েয। [ইলাউস্ সুনান ১৭/২৮৩; আলমগীরী ৫/৩০০]
আরও পড়ুন: কুরবানী সংশ্লিষ্ট মাসআলা | চতুর্থ পর্ব