কোভিড-১৯: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে ডব্লিউএইচওর সতর্কবার্তা

কোভিড-১৯: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে ডব্লিউএইচওর সতর্কবার্তা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোকে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে বলেছে, পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত বদলাচ্ছে, তাতে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, আর তা এখনই।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনকে বাদ দিলে ডব্লিউএইচওর হিসাবে দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ অঞ্চলের দেশগুলোর পরিস্থিতি ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় এখনও ভালো হলেও গত কয়েক দিনে দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার পরিস্থিতিও অবনতির দিকে।

এ অঞ্চলে ডব্লিউএইচওর পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, “নতুন নতুন জায়গায় একসঙ্গে অনেক লোকের সংক্রমণের তথ্য আসছে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে ভাইরাস সংক্রমণের নজরদারির কাজটা কার্যকরভাবেই হচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে আমাদের আরো কঠোরভাবে এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের সবাইকে নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ডব্লিউএইচও যে এলাকাকে দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে, তার ১১টি দেশের প্রায় সবগুলোতেই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

এর মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৭৭ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৪ জন, ভারতে ১২৫ জন, শ্রীলংকায় ১৯ জন, মালদ্বীপে ১৩ জন, বাংলাদেশে ১০ জন, নেপালে ১ জন এবং ভুটানে ১ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য এসেছে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত।

এসব দেশের অনেকগুলোতেই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়তে শুরু করার আগে মালয়েশিয়া সামাজিক জমায়েত বা জনসমাগম এড়াতে তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

এ অঞ্চলের দেশগুলোর অনেকগুলোতেই সংক্রমণ বাড়ার একটি বড় কারণ ধর্মীয় জমায়েত।

মালয়েশিয়া এখন বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলও ছুটি দিয়ে দিয়েছে।

পাশের দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো কয়েক দিন আগে নিজেই স্বীকার করেছেন যে, আতঙ্ক যাতে না ছড়ায়, সেজন্য তার সরকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পুরো তথ্য প্রকাশ করেনি।

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে গত ফেব্রুয়ারিতে রসিকতা করেছিলেন, বলেছিলেন, ওই ভাইরাসকে তিনি চড় কষাবেন। তিনিই এখন রাজধানী ম্যানিলাকে কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলেছেন, চালু করেছেন কোয়ারেন্টিনের কঠোর নিয়ম।

পুনম ক্ষেত্রপাল বলেন, “এটা স্পষ্ট যে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে, আর তা এই মুহূর্ত থেকেই।”

বিবিসি লিখেছে, দক্ষিণ-পূ্র্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ও লাও এখনও সংক্রমণের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি, যদিও এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র : বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *