পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশের অন্তত ১৬টি জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে দুই ডিগ্রি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানায় অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু জেলায় তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ এখন পর্যন্ত শুরু না হলেও উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও হিমেল বাতাস বইছে প্রায় সারাদিনই। এতে করে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূতি বাড়িয়েছে। কুয়াশার কারণেও কিছু অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছিতে; ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল রাজশাহীতে ১১। এছাড়া ঢাকায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি, যা আজ দুই ডিগ্রি কমে ১৩.৮-তে নেমেছে।
এদিকে, ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করছে- পাবনার ঈশ্বরদীতে ১০.৮; কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১১; কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১১.৩; গোপালগঞ্জে ১১.৪; যশোর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও ডিমলায় ১১.৬, দিনাজপুর ও রাজশাহীতে ১১.৭, নীলফামারীর সৈয়দপুর, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া, রংপুর, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। কুয়াশার কারণে সারা দেশে দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।