১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে কোনো অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী যে-ই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার (০৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কক্সবাজার আসেন। আজ বুধবার সকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরে ফেরেন।
এ সময় পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোনো মাদক করবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অপরাধী যে-ই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফে অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়ে আইজিপি বলেন, প্রতিটি অপহরণের বিষয়ে জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন আইজিপি।
মিয়ানমারের নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘আরসা’মুক্ত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির কিভাবে করা যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি যেমন অব্যাহত রয়েছে, তেমনি তাদের (আরসা) বিরুদ্ধেও অব্যাহত থাকবে।’
সম্প্রতি ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘এখানে সিআইডি, পিআইবি, র্যাব ও পুলিশ কাজ করেছে। ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এ নিয়ে আমরা আরো কাজ করে যাচ্ছি। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ১৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পের ৮ এপিবিএন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
কক্সবাজার শহরে ফিরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন। বিকেলে আইজিপি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।