কোন খাবারে ঘুম আসে, কোনগুলো ঘুম তাড়ায়

কোন খাবারে ঘুম আসে, কোনগুলো ঘুম তাড়ায়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ভালো ঘুম হলে শরীর সতেজ থাকে। কর্মচঞ্চলতা বজায় থাকে। মেজাজ থাকে ফুরফুরে। তাই সুস্থতার জন্য নির্বিঘ্ন ঘুমের কোনো বিকল্প নাই।

ভালো ঘুমের জন্য চাই ঠিকঠাক পরিবেশ। চাই মানসিক স্থিতিশীলতা। খাবারদাবারের প্রভাবও পড়ে ঘুমের ওপর।

অনেকের ভাত খাওয়ার পর ঝিমুনি আসে। অনেকের আবার চা-কফি খেলে ঘুমভাব কেটে যায়। এর বাইরেও কিন্তু বেশ কিছু খাবার আছে, যেগুলোর প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর। তবে মনে রাখতে হবে— ঘুমের ওপর খাবারের এই প্রভাব ব্যক্তিভেদে কমবেশি হয়ে থাকে।

ঘুমের শত্রু যেসব খাবার

১.ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার

চা-কফিতে ক্যাফেইন থাকে। এমনকি ‘ডিক্যাফিনেটেড’ হিসেবে চিহ্নিত হলেও তা পুরোপুরি ক্যাফেইনমুক্ত হয় না। গ্রিন টি কিন্তু ক্যাফেইনমুক্ত নয়। এ ছাড়া নানা খাবারে ক্যাফেইন থাকে। চকলেট, তিরামিসু ও ‘এনার্জি ড্রিংক’ হিসেবে পরিচিত পানীয় ক্যাফেইনের উৎস।

২. মসলাদার খাবার

মসলাদার খাবারে অ্যাসিডিটি হতে পারে। বুক জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় ভোগার ফলে প্রশান্তির ঘুম থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আপনি।

৩. ভারি খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার

রাতে ভারি খাবার খেলে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খেলে ঘুম হালকা হতে পারে; একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর সহজে ঘুম না-ও আসতে পারে। যারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান, তাদের ঘুমের সময়কাল কমে যেতে পারে।

৪. মিষ্টি, ফাস্টফুড এবং অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত (আলট্রা-প্রসেসড) খাবার

এসব খাবার বেশি খেলে ঘুম ঠিকঠাক না হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া এসব খাবারে ওজনও বাড়ে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য যেসব খাবার

১. কাঠবাদাম

কাঠবাদাম মেলাটোনিনের উৎস। ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন, যা আমাদের দেহঘড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে আরও আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত। তাই ভালো ঘুমের জন্য রাতে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন।

২. সাদা ভাত

ভাত বলতে আমরা সাধারণভাবে সাদা ভাতকে বুঝি, যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এর কারণে ঘুম ভালো হয়।

৩. ওটমিল

ওটমিল খেলেও কিন্তু ঘুম আসতে পারে। এতেও আছে মেলাটোনিন।

৪. তেলযুক্ত মাছ

তেলযুক্ত মাছে থাকে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ঘুমের আবেশ আনতে কাজে আসে এ দুটি উপাদান। ভালো ঘুমের জন্য রাতে তেলযুক্ত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

৫. দুধ ও দই

দুধ ও দই খেলেও ভালো ঘুম হয়। হালকা শরীরচর্চা করে এক গ্লাস দুধ কিংবা এক কাপ দই খেয়ে ঘণ্টাখানেক পর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ভালো ঘুম হবে।

৬. কলা

কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি উপাদান, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. ক্যামোমিল চা

এতে আছে অ্যাপিজেনিন নামক উপাদান, যা অনিদ্রার বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। গাঢ় ঘুমের জন্য ক্যামোমিল চা খেতে পারেন।

 

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *