কোয়েল পালন  করে শিক্ষার্থীর সাফল্য

কোয়েল পালন  করে শিক্ষার্থীর সাফল্য

কোয়েল পালন  করে শিক্ষার্থীর সাফল্য

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাসায় অলস সময় পার করছেন। দীর্ঘ ছুটির এ সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজ জেলা নরসিংদীর শিবপুরে কোয়েল পালন করে সফল হয়েছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ছাত্র মো. সাকিকুল ইসলাম নাদিম। বর্তমানে কোয়েল খামার থেকে প্রতিমাসে তার আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) উদ্যোক্তা নাদিম এ সফলতার গল্প শোনান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নাদিমের কোয়েল খামারের যাত্রা শুরু গত বছরের ৩ আগস্ট। স্কুলে পড়াকালীন সিলেটে আত্মীয়ের বাড়িতে কোয়েল পালন দেখে আগ্রহ জন্মে। এরপর খোঁজখবর নিতে থাকেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞান ও সময়ের অভাবে এতদিন শুরু করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের মার্চে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পর সুযোগটা হাতে চলে আসে। তবে করোনায় ডিমের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তখন শুরু করতে পারেননি।

করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলে নিজের বাড়িতেই শেড নির্মাণ করে সাত হাজারের বেশি একদিনের বাচ্চা তোলেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। শেড নির্মাণ ও কোয়েল পালনের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যয় হয় আরও ৭০ হাজার টাকা। কোয়েলের বয়স এক মাস পার হওয়ার পর ডিম দেয়া শুরু করে। এর মাঝে ৩০ দিন বয়সী প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুরুষ কোয়েল বিক্রি করে নাদিমের উপার্জন প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

কোয়েল পালনে মূলত ডিম থেকেই লাভ আসে। নাদিমের খামারে বর্তমানে তিন হাজারের বেশি ফিমেল (নারী) কোয়েল পাখি আছে। প্রতিদিন এখান থেকে গড়ে প্রায় ২২৫০টি ডিম পাচ্ছেন। প্রতি ১০০ ডিম গড়ে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অনলাইন ক্লাস চলমান থাকায় কাজের সুবিধার্থে খামারে একজন লোক নিয়োগ করেছেন নাদিম। সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা উপার্জন হচ্ছে বলে জানান গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র।

নিজে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থী হওয়ায় এবং শিক্ষকদের পরামর্শে নাদিমের খামারের ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো। অন্যান্য খামারগুলোর তুলনায় তার খামারে বাচ্চা মৃত্যুহার অত্যন্ত নগণ্য। তবে করোনার কারণে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

নাদিম বলেন, ‘আশানুরুপ ডিম উৎপাদন হলেও দাম বেশ কম। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ডিমের চাহিদা কমেছে। যে কারণে অন্যান্য সময়ে ১০০ ডিম ১৭০-১৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এখন সেটা গড়ে মাত্র দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভালো হলে মাসে আরও ১০ হাজার টাকা বেশি ইনকাম হতো।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *