ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনে রেকর্ড

ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনে রেকর্ড

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯৮৫.৩ কোটি টাকা।

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যথাক্রমে প্রায় ৩৫, ৪০৭.২ কোটি টাকা ও ২৭,৫৭৮.১ টাকা লেনদেন করা হয়েছে।

জুন মাসে এই পরিমাণ ছিল ৩৭,২৩৬ কোটি টাকা।

ওই মাসে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মোট লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৩৪, ৭৪৪.৭ কোটি টাকা ও ২,৪৯১.৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই থেকে শুধু ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন ১০৯১.৫ কোটি টাকা বেড়েছে। যা চলতি বছরে ৪২.৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে মাত্র ১০৪৩.৩ কোটি টাকা।

আগের বছরের পরিসংখ্যানের তুলনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ক্রেডিট কার্ড লেনদেন ছিল ১,৪৮.১ কোটি টাকা, ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ১,২৫২.৪ কোটি টাকা ও ২০২১ সালের জুলাইয়ে এটি ছিল ১,৪৮৬.৬ কোটি টাকা।

ক্রেডিট কার্ডে নির্ভরতা বাড়ছে

গ্রাহকদের ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে ক্রেডিট কার্ডের ওপর কার্ড নির্ভরতা বাড়ছে।

ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ টাকা তোলার পাশাপাশি টাকার প্রয়োজনে কারও কাছে না গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও পরিষেবার জন্য এই কার্ড ব্যবহার করা যায়।

এতে সুদ ছাড়াই ৪৫ দিনে ঋণ শোধ করা যায়। আবার অনেক ব্যাংক শুধুমাত্র একটি পরিষেবা চার্জসহ ছয় মাসে সুদ-মুক্ত ঋণের প্রস্তাব দেয়। শুধু দেশের মধ্যেই নয় বিদেশেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রায় পণ্য ও সেবা কেনা যায়। এছাড়া কার্ডে ডলার লেনদেনের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

সম্প্রতি নগদ টাকা ও কার্ড তোলার ক্ষেত্রে ডলারের হার একই রাখা হয়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, কোভিড-১৯ লকডাউনের ২ বছর পর জীবন স্বাভাবিক হওয়ার সময় থেকে লেনদেন বেড়েছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ এখনও নগদ অর্থ ব্যবহার করেন। তবে প্রতিদিনের লেনদেনে নগদ অর্থের ব্যবহার কমছে।

কার্ডে লেনদেন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত জুবায়ের আহমেদ শিহাব ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, নগদ অর্থ ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে কার্ডে টাকা থাকলে ঝুঁকি তুলনামূলক কম।

এছাড়া পকেটে টাকা রাখার চেয়ে কার্ড রাখা নিরাপদ ও সুবিধাজনক বলেও জানান তিনি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আগে অনেক গ্রাহক কার্ড নিতে না চাইলেও এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় অনেকেই কার্ড ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন।

তারা বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে ই-কমার্স লেনদেন অনেক কমে গেছে। নাহলে কার্ড লেনদেন বেড়ে যেত।

ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করেছে। সকল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো এখন প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যাংকিং দেবা দিচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, অনলাইন সিআইবি রিপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড কার্ড ও বিভিন্ন প্রযুক্তির এটিএম এসব সেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *