- মো. আরিফুল হাসান
মার্ক্স, প্রীতিলতা ও শাহবাগের গাছ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে
মার্ক্স তখন একটি গগনচিল গয়ে কাঁদছে শূণ্যে
প্রীতিলতা অমনি এসে হাত চেপে ধরলে কাঠুরের।
আমরা ক’জন বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে
শুয়ে পড়লাম গাছদেহের সাথে। রাষ্ট্রের
নৃশংস কুঠার নবী জাকারিয়াকেও চিরে ফেলে।
কাছেই লালনের আখড়া ছিলো। আলেক সাঁই
একতারা দিয়ে আঘাত করলেন নিজের মস্তকে
আর তখন রাষ্ট্রের মাথা থেকে রক্তের বৃষ্টি ঝরছে।
ডানার বিরামচিহ্ন
রাতের মাতাল গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে কালঘুম
ঘুমের চুলের ভেতর কাফকার সুদৃশ্য কুমকুম
ধরা পরে থাকে কোনো আত্মার নবযুগ রেখা
দ্বাদশ চাঁদের দেশে উল্টানো আরশোলা সখা।
তারাদের কুসুমের আস্তরণ ভেদ করে গ্রেগর
তাপস পিদিম রেখে রাতভরে জ্বালায় আগর
তাশেরদেশেতে মৃতশালিকের কুচকানো ডানা
ডানার বিরামচিহ্ন উড়া নয়, উড়ার বাহানা।
সোনা-রং খামে
প্রেমিকার নামে আমি লিখে দেবো একটি বিকেল
ধান তুলে কীষানীরা পুকুরের জলে ধোবে গা
মাঠের সুরুজ এনে লালটিপ পরাবো কপালে
চোখের পাতায় দেবো মেঘে রবি-চ্ছটার কিরণ।
প্রেমিকার নামে আমি লিখে দেবো বিকেল সুন্দর
মিঠে হাওয়া খেলে যাবে খোলাচুলে এলোমেলো হেসে
তখন ধানের স্তবে ভরে উঠবে কিষাণের গোলা
শষ্যের সুঘ্রাণ আমি মেখে দেবো উর্বশী-বুকে।
প্রেমিকার নামে আমি লিখে দেবো প্রাণের বিকেল
নতুন চালের ভাতে ফুটে উঠবে জননীর মায়া
মাগুর মাছের ঝোলে লুকমায় বেহেশতি জেওর
বাংলার স্বাদ আমি এঁকে দেবো প্রেয়সীর ঠোঁটে।
একটি বিকেল আমি লিখে দেবো প্রেমিকার নামে
মাঠভরা কোলাহল পাঠাবো যে সোনা-রং খামে।
লেখক: বাংলা প্রভাষক, বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
দাউদকান্দি, কুমিল্লা, বাংলাদেশ