খালি পায়ে ঘাসে হাঁটা

খালি পায়ে ঘাসে হাঁটা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা সবসময়ই আনন্দের। আমাদের মন ও শরীরকে সতেজ রাখে সবুজ প্রকৃতি। প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটতে পারেন ঘাসে। গবেষণা বলছে, সুস্থ থাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে এই প্রক্রিয়ার। সিমেন্টের উপর হাঁটার বদলে মাটি ও ঘাসের উপর হাঁটা আমাদের মনকে প্রশান্ত করতে পারে। জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা।

১. মাটিতে খালি পায়ে হাঁটলে প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে মস্তিষ্ক শিথিল, শান্ত এবং নিরাপদ বোধ করে। এর ফলে রক্তচাপের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রাকৃতিক চিকিৎসায় রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে ১০-১৫ মিনিট খালি পায়ে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২. পৃথিবীর একটি বিশেষ বৈদ্যুতিক শক্তি রয়েছে, খালি পায়ে হাঁটলে যা ব্যক্তিকে অত্যাবশ্যক শক্তি দেয়। বিজ্ঞান বলছে, খালি পায়ে হাঁটা আমাদের পৃথিবী থেকে নেতিবাচক এনার্জি শোষণ করতে সাহায্য করে।

৩. খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে এনডরফিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘হ্যাপি’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে।

৪. খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্ট অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীর আরও বেশি করে অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে।

৫. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করা উচিত বলে জানিয়েছেন রোগ বিশেষজ্ঞরা। এতে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

৬. মাটিতে পাওয়া শক্তিশালী জীবাণু প্রাকৃতিকভাবে অনাক্রম্যতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। জীবাণুগুলো ত্বকের মাধ্যমে আমাদের নখের নীচ থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরাতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৭. কাদা মাটি বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য পরিচিত। এই কারণেই গ্রামাঞ্চলের মানুষ মেঝে এবং দেয়ালে মাটি এবং পানির মিশ্রণ প্রয়োগ করে তাদের ঘর পরিষ্কার করে। এমনকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে কাদা দিয়েও অনেকে হাত ধোয়। অনেকটা একইভাবে, খালি পায়ে হাঁটা আমাদের পায়ের তলদেশ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে এবং ত্বকের উপরিভাগে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারে।

৮. মানসিক অস্থিরতা দূর হয় সরাসরি মাটির উপর হাঁটলে। এছাড়া মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ফলে দূর হয় অনিদ্রার সমস্যা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *