পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : খুলনার তিন হাসপাতালে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (০৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় ১৩ জন এবং উপসর্গে চারজন মারা গেছেন।
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আটজন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চারজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনায় চারজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা মহানগরীর চানমারী এলাকার মমতাজ বেগম (৫৫), খালিশপুরের রহিমা পারভিন, সোনাডাঙ্গার মনোয়ারা বেগম (৫০) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুব্রত পাল (৪৫)। বর্তমানে এ হাসপাতালটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮০ জন রোগী। এর মধ্যে রেড জোনে ১০৯ জন, ইয়োলো জোনে ৩১ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জন।
গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালের সত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর বড় বয়রা এলাকার নোভা রানী দাশ (৭৫), খুলনার ডুমুরিয়ার নজরুল ইসলাম (৬৮), পাইকগাছার কপিলমুনির শোভা রানী সাহা (৭৫) ও বাগেরহাট সদরের মাহমুদা বেগম (৫৫) মারা গেছেন। বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৩৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত নগরীর খালিশপুরের জিল্লু মিয়া (৬৫), রূপসার নন্দনপুরের শরিফুল ইসলাম (৫২), রহিমনগরের আমির হোসেন (৬৫), বাগেরহাট ফকিরহাটের শারমিন বেগম (৪৫) ও একই এলাকার মারিয়া খাতুন (৩৯)। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। এদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো মৃত্যু হয়নি। করোনা শনাক্ত হওয়া ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।