গাছ পাকা আম যখন ২০ টাকা কেজি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গাছ পাকা আম যখন ২০ টাকা কেজি তখন কিনতে আর ভয় কী? আমের রাজধানী রাজশাহীতে এখন মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি সুস্বাদু গাছপাকা আম। তাও আবার ফেরি করে বাড়ি বাড়ি আম বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অবিশ্বাস্য শোনালেও এখন ঘটছে এমনটাই। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লক্ষ্মণভোগ বা লখনা আম।
পাকলে এ জাতের আম উজ্জ্বল হলুদ হয়ে যায়, বোঁটার কাছে লালাভ রং ধরে। এ জন্য একে রঙিন আমও বলে। ঘ্রাণ ভালো। এই আমে অন্যান্য আমের চেয়ে মিষ্টতা কিছুটা কম। খেতে সুস্বাদু এই আম অনেকেই ডায়াবেটিক আম বলেও চেনেন।
স্থানীয় বাগান মালিকরা পাকা আম গাছ থেকে নামিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করছেন। কোথাও কোথাও ফেরিয়ালার আম কিনে নিয়ে গিয়ে ফেরি করে বিক্রি করছেন।
জেলার বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের আম ব্যবসায়ী মন্টু হোসেন বলেন, আমার বাগানের প্রতিটি গাছে এখনও অনেক আম আছে। বাগানের কিছু আম বিক্রি করা হয়েছে, আরও বেশ কিছু আম রয়েছে। প্রতিদিন সকালে পাকা আম গাছ থেকে নামিয়ে আড়তে বিক্রি করি। আবার কখনও বাড়িতে রাখি, এই আম ফেরিওয়ালারা বাড়িতে এসে নিয়ে যান।
উপজেলার রুস্তমপুর খেড়ুর মোড়ের ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা ইসলাম হোসেন বলেন, আমি ১০-১২ বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। স্বল্প পুঁজি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে লক্ষণভোগ গাছপাকা আম ক্রয় করে স্থানীয় আড়তে কেজিতে ২-৩ টাকা লাভে বিক্রি করি। সারাদিনে ১০০-১৫০ কেজি আম ক্রয় করতে পারি। ঘুরতে ঘুরতে কিছু আম বিক্রিও হয়ে যায়।
উপজেলার আড়ানী পৌরবাজারের আড়তদার মঞ্জুর রহমান জানান, গাছ পাকা আম কিনে ঢাকায় চালান করেন তিনি। এই আম ২০-২২ টাকা কেজি দরে বিক্রেতাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন তিনি।
শনিবার স্থানীয় আড়তে কাঁচা লক্ষণভোগ আম ৭৫০-৮৫০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে। ল্যাংড়া ও খিরসাপাত ৩২০০-৩৫০০ টাকা এবং আম্রোপালি ২৫০০-২৮০০ টাকায় প্রতি মণ কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, গাছে আম পাকলে বোঁটা নরম হয়। এই আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে লক্ষণভোগ আম ২০-২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।