গাজায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি সম্মেলনের ডাক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের

গাজায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি সম্মেলনের ডাক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধাবসান চেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার পশ্চিমতীরের রামাল্লাহ শহরে নিজ কার্যালয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সি মাহমুদ আব্বাস।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আমি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। আমার প্রস্তাব-একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বান করে বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘তবে সবার আগে প্রয়োজন গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতির অবসান ঘটানো। কারণ অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত দুই মাসে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত খুবই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং গাজার যুদ্ধের আঁচ ব্যাপকভাবে টের পাচ্ছেন পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনিরাও। পশ্চিমতীরের শহরে ইহুদি বসতকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের।’

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন কেবল গাজার যুদ্ধাবসান কিংবা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিদের পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব দূর করতেও সহায়ক হবে।’

মাহমুদ আব্বাস বলেন, গাজায় ২০০৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত ও পরে হামাসের বৈরিতার শিকার হয়েছে পিএ। কিন্তু উপত্যকার সরকারি প্রশাসনিক ও পরিষেবা কর্মকর্তা-কর্মীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য এখনো প্রতি মাসে ১৪ কোটি ডলার গাজায় পাঠাচ্ছে পিএ। এমনকি গাজার মন্ত্রিসভায় পিএর তিনজন সদস্যও রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘গাজা আর এখন আগের মতো নেই। সেখানকার স্কুল, হাসপাতাল, অবকাঠামো, ভবন, পথঘাট, মসজিদ— সব ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এই যুদ্ধ শেষে গাজাকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং সেই সময় আমাদের বিপুল পরিমাণ সহায়তার প্রয়োজন হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার জেরে ইসরাইলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *