গাজায় ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক নিহত

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক নিহত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : লেবানন সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে নির্মূলের হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহ হামলা চালানো বন্ধ না করলে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তারা।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার বেইত লাহিয়া, খান ইউনিস, মাগহাজি ক্যাম্পসহ গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া গতকাল স্থানীয় সময় দুপুরে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২১০ জন নিহত এবং ৩৬০ আহত হয়েছে।

খান ইউনিসে অভিযানে অতিরিক্ত সেনাদল যুক্ত করেছে ইসরায়েল। খান ইউনিসে হামাসের একটি পর্যবেক্ষণকেন্দ্র ধ্বংসের দাবি করেছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ২১ হাজার ৩২০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ৫৫ হাজার ৬০৩ জন আহত হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি দিতে তিন ধাপের একটি পরিকল্পনাসহ গাজায় রক্তপাত বন্ধের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব কাঠামো দিয়েছে মিসর। মিসরের রাষ্ট্রীয় তথ্যসেবার প্রধান দিয়া রাশওয়ান বলেন, তাদের প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়ার জন্য কায়রো এখনো অপেক্ষা করছে। তাদের প্রতিক্রিয়া পেলেই প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে গাজাবাসী বিপর্যয়কর ক্ষুধায় ধুঁকছে উল্লেখ করে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছে ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ।

গাজায় ইউএনআরডাব্লিউএর পরিচালক থমাস হোইয়াট জানান, প্রতিদিনই খাবার ও পানি জোগাড় করতে গাজাবাসীকে লড়াই করতে হচ্ছে। এদিকে ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশটির নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রথম বিবেকের কারণে আপত্তির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাঁকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরেক ঘটনায় ইসরায়েলি সেনারা অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ও অন্যান্য শহরের কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক লাখ শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) বাজেয়াপ্ত করেছে। ইসরায়েলের দাবি, ওই ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো হামাসের মতো বিভিন্ন সংগঠনকে তহবিল সরবরাহ করে।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা অনেক এক্সচেঞ্জ মালিককে গ্রেপ্তারও করেছে।

সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *