গাজার আরো ২ হাসপাতাল ঘেরাও করে ইসরায়েলের হামলা

গাজার আরো ২ হাসপাতাল ঘেরাও করে ইসরায়েলের হামলা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইসরায়েলি বাহিনী গাজার আরো দুটি হাসপাতাল ঘেরাও করে ভারী গুলিবর্ষণ চালিয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (২৪ মার্চ) ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। নতুন করে আল-আমাল ও আল-নাসর হাসপাতাল দুটি অবরোধের শিকার হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজার প্রধান আল শিফা হাসপাতালে অব্যাহত সংঘর্ষে ৪৮০ সশস্ত্র যোদ্ধাকে বন্দি করেছে।

ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহলের হাসপাতালগুলো হামাস ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা এ দাবির সমর্থনে কিছু ভিডিও এবং ছবিও প্রকাশ করেছে। তবে হামাস এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা ইসরায়েলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ ও বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো হঠাৎ করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-আমাল এবং নাসের হাসপাতালের আশেপাশের হামলা শুরু করলে একজন কর্মী নিহত হন।

ইসরায়েলি বাহিনী আল-আমালের চারপাশে অভিযান শুরু করেছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। তারা বলেছে, “সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর হামলা চালানো হয়েছে … যা ইঙ্গিত দেয় যে, সন্ত্রাসীরা আল-আমাল এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে।”
রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী আল-আমাল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে এবং এর আশেপাশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘আমাদের সব দল এই মুহুর্তে চরম বিপদে রয়েছে এবং সম্পূর্ণরূপে অচল।

রেড ক্রিসেন্ট আরো বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এখন আল আমালের প্রাঙ্গণ থেকে কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের সরে যেতে বলছে এবং তাদের এলাকায় ধোঁয়া বোমা নিক্ষেপ করছে। সংস্থাটি পরবর্তী আপডেটে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ডের ভিতরে এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাস-চালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা শহরের আল শিফায় ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকজন রোগী ও চিকিৎসা কর্মীকে আটক করেছে। হামাস পরিচালিত সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, আল শিফায় ৭ দিনের অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী পাঁচ ফিলিস্তিনি চিকিৎসককে হত্যা করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *