পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে গত বুধবার রকেট ছোড়ার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরকে লক্ষ্য করে গতকালের হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার রকেট ছোড়ার জবাবে হামাসের নিয়ন্ত্রিত একটি রাসায়নিক কারখানা ও অস্ত্র তৈরির স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এক টুইটবার্তায় সেনাবাহিনী বলেছে, ‘হামাসকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
ইসরায়েল যেকোনো আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নাগরিকদের ক্ষতি করার প্রতিটি প্রচেষ্টা পূর্ণ শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে।’
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম ইসরায়েলি হামলাকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ইসরায়েলকে ‘পৃথিবীতে উত্তেজনার দ্বার উন্মুক্তকারী’ বলে অভিযোগ করেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ প্রতিরোধের আহবান জানিয়েছেন। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে কয়েক মাস ধরে চলা সহিংসতায় নিহত ‘নিরপরাধ’ ফিলিস্তিনিদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। পরদিন পূর্ব জেরুজালেমে একটি ইসরায়েলি বসতির পাশে সিনাগগের (ধর্মীয় উপাসনালয়) বাইরে এক ফিলিস্তিনির গুলিতে সাতজন নিহত হয়।
সূত্র : এএফপি