গাজা-পশ্চিম তীরে ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

গাজা-পশ্চিম তীরে ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে দখলকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পৃথক ঘটনায় অন্য একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালানোর সময় তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ওই অভিযানে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিহতদের নাম এখনও জানা যায়নি।

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে ইউসুফ সালেম রাদওয়ান (২৫) নামে শনাক্ত করা হয়েছে। গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে ফিলিস্তিনি মিডিয়া জানিয়েছে।

অবশ্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় ফিলিস্তিনি হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে তারা বলেছে, ‘দাঙ্গাকারীরা’ সীমান্ত বেড়ার পাশে জড়ো হয়েছিল এবং ‘বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক ডিভাইস চালু করেছিল’।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সির মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেছেন, ‘গাজা, জেনিন এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন সমগ্র অঞ্চলে সহিংসতা এবং উত্তেজনা বয়ে নিয়ে আসবে।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী সংলগ্ন সহিংস দাঙ্গায় শত শত দাঙ্গাকারী জড়ো হয়েছিল। ঘটনার সময়, দাঙ্গাকারীরা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় করে।’

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ২৫ বছর বয়সী ইউসুফ রাদওয়ান ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান। ওই সহিংসতায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিনে ২২, ২৩ এবং ২৪ বছর বয়সী তিন ফিলিস্তিনি যুবক ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া জেনিনের ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি ড্রোন জেনিনে হামলা করেছে, তবে সেখানে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *