পাথেয় রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের পাইপ লাইনের ছিদ্র থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। ফতুল্লার কোতোয়ালেরবাগ হকবাজার এলাকায় চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আগুনে দগ্ধ ওই বাড়ির ভাড়াটে পোশাক তৈরির দোকানের মালিক শ্রীনগর চন্দ্র বর্মণের (৪০) ভাষ্য, আজ ভোরে পরিবারের সবাই দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে আলো জ্বালাতেই আগুন দেখতে পান। এ ঘটনায় সবাই দগ্ধ হন। প্রতিবেশী অনাথ চন্দ্রসহ অন্যরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
আগুনে আরও দগ্ধ হয়েছেন শ্রীনাথের স্ত্রী অর্চনা (৩৫), মেয়ে অনামিকা (১৫), ছেলে অর্পিত (৯), মা ছায়া রানী (৬০), বোন সুমিত্রা (২৭), জামাতা নারায়ণ চন্দ্র (৪০), ভাতিজা প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০)।
ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের বিশেষ সাখার ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রোমেন জানান, আজ সকালে বাড়ির গৃহকত্রী রান্না ঘরে যাওয়ার আগে থেকেই চুলা লিকেজ হয়ে সেখান থেকে গ্যাস বেরুচ্ছিল। এসময় গৃহকত্রী ম্যাচ দিয়ে চুলা জ্বালাতেই পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ওই বাড়ির সবাই দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধ সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, চারজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কামুক্ত নয়। বদ্ধ ঘরে আগুন লাগলে শ্বাসনালিতে আগুন ঢোকে। এতে শ্বাসনালি পুড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় আজ সকালে নয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়।