পাথেয় রিপোর্ট : চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি না করারও আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজার ট্র্যাজেডির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। সরকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে না। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য কাজ করছে।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরান ঢাকা থেকে যত দ্রুত সম্ভব রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না। রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সিটি মেয়র ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশাকে পুঁজি করে কারো রাজনীতি করা উচিত নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে জীবিকার চেয়ে জীবনের ঝুঁকি বেশি। তাই এখানে কেমিক্যাল গোডাউন থাকতে দেওয়া হবে না। নিমতলির ঘটনার পর কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্লোজ মনিটরিংয়ের অভাব ছিল। তাই এখানে আবার গোডাউন করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিপদজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। সিলিন্ডার ব্যবহার না করাই ভালো। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করার বিকল্প ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেমিক্যাল গোডাউন না থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত ৯ জনকে ১ লাখ টাকা করে চেক প্রদান করেন ওবায়দুল কাদের। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম আহতদের দেখতে ঢামেকে যান এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
যানবাহনে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিয়মিত মনিটরিং করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে অনতিবিলম্বে কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরিয়ে নিতে হবে। এসব গোডাউন এখানে রাখা যাবে না। এ বিষয়ে কোনো ধরনের গাফলতি আরও বড় ক্ষতি ডেকে আনবে।