পাথেয় রিপোর্ট : সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ।একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আওয়ামী লীগ চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারবে।আবার চাইলে ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করতে পারবে জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার হোক আর মহাজোট সরকার হোক ইতিমধ্যে শপথ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সাংবিধানিকভাবে তিন দিনের বাধ্যতা থাকলেও পরদিনই (বৃহস্পতিবার) শপথ গ্রহণ ও ৬ তারিখ গঠিত হতে পারে নতুন মন্ত্রিসভা। নির্বাচন কমিশন ভোটের গেজেট প্রকাশের পরই নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।আর মন্ত্রিসভা গঠিত হবে চলতি সপ্তাহেই।নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনানুষ্ঠানিক কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
গেজেট প্রকাশের পরই মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার কাজ শুরু করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ৪ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আভাস দিয়েছেন।
মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা গঠনের দাফতরিক কাজগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করে থাকে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (বিধি ও সেবা) শফিউল আজিম সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমাদের এ সংক্রান্ত ফাইল প্রস্তুত করাই রয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট জারি হলে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ যখন নতুনরা শপথ নেবেন তখন অটোমেটিক্যালি বর্তমান মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গেজেট জারির পর তাদের শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যরা বৈঠক করে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যদের ভেতর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি তাদের শপথ পড়াবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দফতর বণ্টনের আদেশ জারি করবে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৯ আসন। গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।