চার কারণে ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্যান্সার বাড়ছে

চার কারণে ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্যান্সার বাড়ছে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গত তিন দশকে সম্ভাব্য চার কারণে ৫০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ৮০% বেড়েছে এক গবেষণায় জানানো হয়েছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসা সাময়িকী বিএমজে অনকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১৪-৪৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ৮০% বেড়েছে। যা ১.৮২ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩.২৬ মিলিয়ন হয়েছে। এই রোগে ৪০ ও ৩০ বা তার চেয়ে কম বয়সীদের মৃত্যুর হার ২৭% বেড়েছে।

এতে বলা হয়, এখন ৫০ বছরের নিচে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবছর ক্যান্সারে মারা যান।

গবেষণায় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল ও তামাক, শারীরিক সক্রিয়তার অভাব ও স্থূলতাকে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও ক্যান্সারে কেন আক্রান্ত হয় ও কেন এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

২০১৯ সালে ৫০ বছরের কম বয়সী এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে মারা যান। যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ২৮% বেশি।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার ছিল স্তন, বায়ুনালী, ফুসফুস, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ক্যান্সার।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ছিল প্রায় ১৪%।

এদিকে লিভার ক্যান্সার বছরে ২.৯ শতাংশ কমেছে।

গবেষকরা গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি থেকে ২০৪টি দেশে ২৯টি আলাদা ক্যান্সারের হারের তথ্য বিশ্লেষণ করেন।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে দেশ যত বেশি উন্নত, সেখানে ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

গবেষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০-৪৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের হার আরও ৩১% বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে গবেষণার বাইরে থাকা অন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসার উন্নতিকরণ করা হলে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে পারে।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডরোথি বেনেট বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, এটিও ক্যান্সার বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের দুই চিকিৎসক অ্যাশলে হ্যামিল্টন ও হেলেন কোলম্যান বলেন, ক্যান্সার বৃদ্ধির পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা দরকার।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *