চিনির দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের

চিনির দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের

চিনির দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে থাকে খুব টেনশনে। কোনোটার দাম বাড়লে সাধারণের উপর চাপ আরও যেনো বেড়ে যায়। এবার চিনির দাম বেড়েছে সত্য কিন্তু পেঁয়াজ-রসুনের কমেছে দাম। এছাড়া কিছুটা দাম কমেছে আলু ও ব্রয়লার মুরগির। তবে দেশি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম এখনও চড়াই রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও।

বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে, যা গত শুক্রবার ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অর্থাৎ তিনদিনের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। অবশ্য গত সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই ছিল।

আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে আমদানি করা রসুনের। কয়েক দফা দাম কমে আমদানি করা রসুন এখন দেশি রসুনের থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

আমদানি করা পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমলেও দেশি পেঁয়াজ-রসুন বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি গত কয়েকদিনের মতো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুনে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

ঈদের পর থেকে বাড়তে থাকা আলুর দাম গত তিনদিনে কিছুটা কমেছে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আলুর দাম কমে ২৮ থেকে ৩০ টাকায় নেমেছে। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে ব্রয়লার মুরগিও। ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

আমদানি করা পেঁয়াজ-রসুন, আলু, ব্রয়লার মুরগির দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাবেও। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আমদানি করা রসুনের দাম ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, আলুর দাম ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমেছে।

আমদানি করা পেঁয়াজ-রসুন, আলু, ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও চলতি সপ্তাহে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারে চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। অবশ্য রোজার শুরুর দিকে চিনির কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়েছিল।

আলু, পেঁয়াজ-রসুনের দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গত সপ্তাহে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বাড়ে। তবে সোমবার পাইকারিতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে আমদানি করা রসুনের। আলুর দামও কিছুটা কমেছে। এ কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

ব্রয়লার মুরগির দামের বিষয়ে যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী আজম বলেন, এবার ব্রয়লার মুরগির দামের অস্থিরতা কমছে না। করোনাভাইরাস শুরু থেকেই ব্রয়লার মুরগির দাম অস্থির। হুটহাট করে দাম বাড়ছে-কমছে। শুক্রবার যে মুরগির কেজি ১৭০ টাকা বিক্রি করেছি আজ তা ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। এর আগে ঈদের পর ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এবং ঈদের আগে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।

চিনির দামের বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, রোজার শুরুতে চিনির কেজি ৬৫ টাকা ছিল। রোজার ভেতর পাইকারিতে দাম কমায় চিনির কেজি ৬০ টাকায় নেমেছিল। ঈদের পর তা আরও কমে ৫৫ টাকা হয়। তবে দুদিন ধরে পাইকারিতে চিনির দাম বেশি। এ কারণে আমরা দাম বাড়িয়ে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে চিনির দাম এর বেশি বাড়বে না বলেই শুনেছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *