চিনির দাম বিকেলে ২০ টাকা বাড়িয়ে রাতে প্রত্যাহার

চিনির দাম বিকেলে ২০ টাকা বাড়িয়ে রাতে প্রত্যাহার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম:  রমজানের আগে দেশে উৎপাদিত চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। তবে দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপিতে তা প্রত্যাহার করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান রাত ১০টার দিকে চিনির দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানান।

রোজার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার মরিয়া।

কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি প্রতিষ্ঠান চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গতকাল বিকালে চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিএসএফআইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, কেজিপ্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে সরকারি মিলে চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাতে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।
বিশ্ব বাজারে দাম কমলেও দেশে এর প্রভাব নেই

মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি চিনির দাম কমেছে ১০০ ডলারেরও বেশি। অথচ এর প্রভাব নেই দেশের বাজারে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশনের (আইএসও) তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর এক টন অপরিশোধিত চিনির মূল্য ছিল ৭০০ ডলার। একই মাসের ২৯ তারিখে ১০০ ডলারের বেশি দাম কমে ৫৯১ ডলারে আসে। পরে অপরিশোধিত চিনির প্রতি টনের দাম বেড়ে ৩১ জানুয়ারি হয় ৫৯৭ ডলার এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি হয় ৬২৪ ডলার।

এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অপরিশোধিত প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানি শুল্ক কমায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশের বাজারে ভোজ্য তেল ও চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

সে অনুসারে ২০ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এখনো বেসরকারি দাম নির্ধারণ না হলেও সরকারি চিনির দর বাড়ার ফলে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, সরকারের পাঁচ মন্ত্রণালয় বাজারে রোজার পণ্য ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার কথা বলছে। অথচ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চিনির দাম বাড়িয়ে দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *