পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ইমতিয়াজ সেলিম ওরফে ইমাদুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ।
ইমতিয়াজ দেশের একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি নীতিনির্ধারক ছিলেন বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসিপ্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ‘জালিম হাসিনা এবং উপনিবেশবাদী মার্কিনিদের কবল থেকে মুক্তির উপায়’বিষয়ক অনলাইন সম্মেলন করে হিযবুত তাহ্রীর। সম্মেলনে দুই বক্তা ও এক উপস্থাপক ছদ্মনামে অংশ নেয়।
ইমতিয়াজ সিটিটিসিকে জানিয়েছেন দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাল থেকে বিবিএ ও মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছেন ইমতিয়াজ। তিনি মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্টধারী। জাতীয় কারাতে ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রশিক্ষক ও আন্তর্জাতিক রেফারি। এ ছাড়া তিনি জাপান কারাতে অ্যাসোসিয়েশনের লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ২০১০ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে হিযবুত তাহ্রীরে যোগ দেন ইমতিয়াজ। কিছুদিন পর তিনি গ্রেপ্তারও হন। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা হয়। এ মামলায় ছয় মাস কারাগারে থাকার সময়ে তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক মহিউদ্দিনের সান্নিধ্য লাভ করেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি সপরিবারে অস্ট্রেলিয়া যান। এক বছর পর দেশে ফিরে সংগঠনের কার্যক্রম জোরদার করেন।